রাজধানীতে কিছুক্ষণ পর পর টানা ৪দিন ধরে বৃষ্টি হওয়ার ফলে অনেক এলাকা ও রাস্তায় পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে কর্মমুখী রাজধানীবাসীদের বিড়ম্বনার সম্মুখিন হতে হচ্ছে।
Advertisement
সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বর্ষার শেষপ্রান্তে টানা বৃষ্টি নগরজীবনে ভোগান্তি বাড়িয়েছে। নানা ধরনের প্রভাব পড়তে দেখা গেছে জীবনযাত্রায়। যানবাহন সংকট, জলাবদ্ধতা, যানজট ইত্যাদির পাশাপাশি থেমে থেমে সারা দিন বৃষ্টির ফলে মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়েছে অনেকাংশেই।
বুধবার সকাল থেকে আজ শনিবার পর্যন্ত টানা ৪দিন ধরে বৃষ্টিপাতের কারণে মতিঝিল, কমলাপুর, রাজারবাগ, শাহজাহানপুর, মৌচাক, কাকরাইল, শান্তিনগর, ইস্কাটন, মালিবাগ, মগবাজার, শেওড়াপাড়া, আজিমপুর, ঝিগাতলা, শংকর, মোহাম্মদপুর, বাড্ডা, কুড়িল, মিরপুর, পুরান ঢাকার লক্ষীবাজার, পাতলাখান লেন, রূপচান লেন, পোস্তগোলা, দয়াগঞ্জ, যাত্রাবাড়িসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বেশিরভাগ এলাকায় হাঁটু পানি জমে গেছে। মূলত বৃষ্টির পানি মেনহল ও ড্রেন থেকে উপচে পড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করেছে। এতে করে মেনহল ও ড্রেনের ময়লা পানির মধ্যদিয়ে এলাকাবাসীদের চলাচল করতে হচ্ছে।
বৃষ্টি অল্প-বিস্তর ঝরছিল কয়েকদিন ধরেই। অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, কেবল বুধবার রাতেই রাজধানীতে বৃষ্টি হয়েছে ২৯ মিলিমিটার। এ বৃষ্টিতে সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এ সময় অনেক গাড়িকে বনেট ছুঁই ছুঁই পানি ভেঙে ছুটতে দেখা গেছে। তবে প্রাইভেটকার চললেও অভাব ছিল রিকশা, ভ্যান, সিএনজি ইত্যাদি বাহনের। যে কারণে সকালের জলাবদ্ধতা ও বৃষ্টিতে অনেকের অফিস বা স্কুল-কলেজ যাত্রাই বিঘ্নিত হয়েছে। কিছু না পেয়ে শেষ পর্যন্ত যাত্রা বাতিল করতেও বাধ্য হন অনেকে।
Advertisement
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন এস এম জাভেদ ইকবাল বলেন, ‘পলিথিন ও প্লাস্টিক জাতীয় সামগ্রীর জন্য রাজধানীর অধিকাংশ সুয়ারেজ লাইন অকেজো হয়ে পড়েছে। সঠিকভাবে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। তাই সামান্য বৃষ্টিতে সৃষ্টি হচ্ছে পানিবদ্ধতা। সাধারণ মানুষ পলিথিন ও প্লাস্টিক জাতীয় সামগ্রী যত্রতত্র ফেলার জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এতে করে প্রতিদিন পরিস্কার করেও লাভ হচ্ছে না।