ধর্ম

যে সুরা ক্ষমা লাভের পূর্ব পর্যন্ত সুপারিশ করবে

আল্লাহ তাআলা মানুষকে তার রহমত থেকে নিরাশ হতে নিষেধ করেছেন। মানুষের জন্য আল্লাহ তাআলার রহমত অনেক প্রসারিত। এ কারণেই তিনি মানুষকে পরকালে নাজাতের অনেক গুরুত্বপূর্ণ আমল শিখিয়েছেন। যা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে তা তুলে ধরেছেন। আর মানুষও নাজাতের জন্য বহু পথ ও মত তালাশ করে।হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি সুরা মূলকের আমল নিয়মিত করবে; কিয়ামতের কঠিন সময়ে এ সুরার আমলকারীকে যতক্ষণ না পর্যন্ত ক্ষমা করা না হবে; ততক্ষণ পর্যন্ত সুরা মুলক তাঁর আমলকারীর জন্য ক্ষমা ও নাজাতের সুপারিশ করতেথাকবে।অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিয়মিত সুরা মূলকের আমল করবে সে কবরের আজাব থেকে মুক্তি পাবে। (তিরমিজি, মুসতাদরাকে হাকেম) হাদিসটি তুলে ধরা হলো-হজরত আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কুরআন মাজিদে ৩০ (ত্রিশ) আয়াত বিশিষ্ট একটি সুরা রয়েছে, যা তার তেলাওয়াতকারীকে ক্ষমা করে দেয়ার পূর্ব পর্যন্ত তার জন্য সুপারিশ করতেই থাকবে। আর সুরাটি হলো تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ তথা সুরা মূলক।’ (মুসনাদে আহমদ, তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)এ কারণেই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘আমার মন চায়প্রত্যেক মুমিনের হৃদয়ে যেন সুরা মুল্ক মুখস্ত থাকে।’ (বাইহাকি)আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নিয়মিত সুরা মুলক-এর আমল করার তাওফিক দান করুন। উম্মাতে মুহাম্মাদিকে সুরা মুলক মুখস্ত করার তাওফিক দান করুন। পরকালের কঠিন সময়ে ক্ষমা লাভের পূর্ব পর্যন্ত এ সুরা তার আমরকারীর জন্য নাজাতের উসিলা হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/পিআর

Advertisement