প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অগ্নিসন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের কঠোর শাস্তি দেয়ার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেছেন, যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করছে এবং হরতাল ও অবরোধের নামে জঙ্গি কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে, তাদের কোনো ক্ষমা নেই। জঙ্গিদের যেভাবে শাস্তি দেয়া হয়েছে, আমরা একইভাবে অগ্নিসন্ত্রাসী ও জঙ্গিদেরও কঠিন শাস্তি দেবো ইনশা আল্লাহ।বুধবার বিকেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৬তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।তিনি বলেন, আমি অগ্নিসন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং তাদের অবিলম্বে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর হাতে তুলে দিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রতি আ্বিান জানাই।শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়, তাদের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা এবং তাদের ক্ষতি করার তৎপরতা কেউ মেনে নেবে না।খালেদা জিয়াকে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ও জঙ্গিবাদের রানী হিসেবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের একমাত্র কাজ হচ্ছে জনগণকে পুড়িয়ে মারা এবং দেশকে ধ্বংস করা। বিএনপি নেত্রী হরতাল ও অবরোধের নামে জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বাংলাদেশে জঙ্গিবাদী নেত্রীর কোন স্থান হবে না।বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের তীব্র সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, যারা বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নের ধারাকে ব্যাহত করছে জনগণ তাদেরকে কিভাবে মেনে নেবে। আমার প্রশ্ন বিএনপি-জামায়াত জোট যেখানে লাগামহীন ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে সেখানে দেশের জনগণ কিভাবে এসব দলকে গ্রহণ করবে। এসব দল জনগণকে পুড়িয়ে হত্যা করছে, দেশকে ধ্বংস করছে। জনগণ কিভাবে তাদেরকে সমর্থন করতে অথবা ভোট দিতে পারে?শেখ হাসিনা বলেন, যেকোন রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য হতে হবে দেশের জনগণের শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করা। কিন্তু বিএনপি’র লক্ষ্য হচ্ছে দেশকে ধ্বংস এবং জনগণকে ক্ষতিগ্রস্ত করা। বিএনপি দেশের স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না। যে দল দেশের স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না তাদের এদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলার কি অধিকার আছে তাদের? আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক এ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।আলোচনা সভার শুরুতে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞে অন্যান্য শহীদ এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।আরএস/আরআই
Advertisement