ফিচার

খেতে মজাদার অথচ ক্ষতিকর!

কিছু খাবার খেতে যথেষ্ট মজাদার। কিন্তু শরীরের জন্য তারও অধিক ক্ষতিকর। যেগুলো খেলে আপনার খাওয়ার ইচ্ছেটা আরো বেড়ে যেতে পারে। আর সেটাই হতে পারে ক্ষতির কারণ। চলুন জেনে নিই, এমনই কিছু খাবারের কথা-সাদা রুটিসাদা রুটি তৈরি হয় গমের ভেতরের অংশ দিয়ে। এমন আটা বেশি আঁশযুক্ত সমৃদ্ধ খাবার। ফলে এই আটার রুটি খেলে একটু পরেই আবার খিদে পায়, ইনসুলিনের মাত্রাও বেড়ে যায়। গবেষকরা বলছেন, সাদা আটার রুটি মস্তিষ্কে খাওয়ার স্পৃহাও জাগিয়ে তোলে। ফলে একটু পরেই আমরা আবার অন্য কিছু খেতে চাই। আর বেশি খেলে যে অনেক রকম ক্ষতির শঙ্কা থাকে তা তো সবাই জানেন!সিরিয়েলবাজারে কর্নফ্লেকসের মতো যে সব সিরিয়েল পাওয়া যায়, সেগুলোর বেশিরভাগই অল্প আঁশযুক্ত খাদ্য উপাদান দিয়ে তৈরি। এমন খাবার খেলে রক্তে চিনির মাত্রা খুব দ্রুত বেড়ে যায়। তারপর দ্রুত কমেও যায়। তাই সকালের নাশতায় সিরিয়েল না খাওয়াই ভালো।সুশিখাবার হিসেবে মাছের কোনো তুলনা হয় না। কিন্তু এই মাছই যখন সাদা রংয়ের মিষ্টি সুশি ভাতের সাথে খাবেন তখনই বিপদ৷ সুশি অল্প খেলে পেট যেন ভরতেই চায় না। একটু খেলে কিছুক্ষণ পরই মনে হয় অন্য কিছু খাই। সাদা চালের পাস্তা খেলেও এমন হয়। তাই সুশি বা পাস্তা যদি খেতেই হয়, বাদামি চালেরটা খান। তখন আর মুটিয়ে যাওয়া বা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি খুব বেশি বাড়বে না।নোনতা এবং মিষ্টিমিষ্টি খাবারের সাথে মস্তিষ্কের বেশ ঘনিষ্ট যোগাযোগ রয়েছে। মিষ্টি স্বাদের অনুভূতিটা খুব তাড়াতাড়ি মস্তিষ্কে পৌঁছায়। তাই নোনতা স্ন্যাকস খেলে অনেক সময় খুব মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করে। চিপস খেলেও মনে হয় পেট ভরে গেছে। কিন্তু একটু পরই আবার কিছু-না-কিছু, অনেক সময় বিশেষ করে মিষ্টি খেতে খুব ইচ্ছে করে।পিৎজাআপনি কি কখনো একটু টুকরো পিৎজা খেয়ে থামতে পারেন? থামা খুব কঠিন। পিৎজাও সাধারণত সাদা আটা দিয়েই তৈরি হয়। সাথে আরো থাকে তেল, পনির এবং নানা ধরণের ‘প্রিজারভেটিভস’, যা রক্তের চিনির মাত্রায় ব্যাপক পরিবর্তন আনে। মস্তিষ্কে তৃপ্তির অনুভূতির জন্ম দেয় এমন হরমোনও তৈরি করে এ ধরণের খাবার। ফলে মানুষ বেশি বেশি খায় এবং স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে।এইচএন/আরআই

Advertisement