এক সময় দেশের ফুটবলের সব কার্যক্রম পরিচালিত হতো বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের এ জায়গাটি থেকে। নিচে লিগ কমিটির (পূর্বে ছিল ডামফা) কার্যালয়, উপরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে)। যখন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ৫০-৬০ হাজার দর্শক হতো তখন হাতেগোনা কয়েকজন কর্মচারী সব সামলাতেন। এখন বাফুফে ভবন আলাদা হয়েছে। মতিঝিলের ওই ভবনে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী। অনেকে রসিকতা করে বলেন, বাফুফে ভবনে যত কর্মকর্তা-কর্মচারী ততজন দর্শকও হয় না মাঠে।বাফুফে যখন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম ছেড়ে ফিফার তৈরি করা মতিঝিলের ভবনে চলে যায়, তখন থেকেই জীর্ণদশা ঢাকা মহানগরী ফুটবল লিগ কমিটি কার্যালয়ের। উপর-নিচের দুটি কার্যালয়ের পরিবেশই নাক পাতার মতো নয়। নিয়মিত লিগ হয় না। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ও বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ হয় বাফুফের প্রফেশনাল লিগ কমিটির অধীনে। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ লিগও এক বছর হয়তো আরেক বছর থাকে ফাইলবন্দি। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের লিগ কমিটির অফিসে কিছু বেতনভুক্ত কর্মচারী কাটান অলস সময়। অনেকে রাতও কাটান এখানে।সেই ঢাকা মহানগরী ফুটবল লিগ কমিটির কার্যালয়ের রঙটা বদলে গেছে। এমনকি উপরের বাফুফের ফেলে যাওয়া কক্ষগুলোরও। নতুন করে কক্ষগুলো সাজিয়েছে মহানগরী ফুটবল লিগ কমিটি। এমনকি একটি সুরম্য সভাকক্ষও তৈরি করা হয়েছে। সোমবার বাফুফে সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিন আধুনিকভাবে তৈরি লিগ কমিটির কার্যালয় উদ্বোধন করেন। ‘দীর্ঘদিন পর লিগ কমিটিতে ফিরে এসেছি। যে জটগুলো লেগেছে তা দূর করার চেষ্টা করবো’- বলেছেন বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগরী ফুটবল লিগ কমিটির চেয়ারম্যান হারুনুর রশীদ।আরআই/আইএইচএস/পিআর
Advertisement