লাইফস্টাইল

ভালোবাসার সম্পর্ক গভীর করবেন যেভাবে

সম্পর্কের নির্দিষ্ট কোনো নাম নেই। এটি তার নিজের শব্দের মাঝের বিশাল। আপনি যে নামের সাথেই একে জুড়ে দেবেন তাকেই সে পূর্ণতা দেবে। তবে ভালোবাসার ক্ষেত্রে সম্পর্কের এই যাদুর কাঁঠি সবচেয়ে বেশি কার্যকর। আপনি আপনার ভবিষ্যৎকে ঠিক কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছেন তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে এই সম্পর্কের ওপর। তাই এই সম্পর্কে থাকা উচিৎ গভীরতা আর একে অপরকে বুঝতে পারার ক্ষমতা।দিনটিকে যেভাবে দেখছেনগতকাল কী হয়েছিল তা নিয়ে কোনোভাবেই সকাল শুরু করবেন না। যদি করেন, তবে এটি আপনার জন্য সবচেয়ে বড় বোকামির কাজ হবে। আপনার পাশের মানুষটি হয়তো মনে মনে স্থির করে ফেলেছে যে আপনার সাথে নতুনভাবে আবার সকলটা শুরু করবে, সেক্ষেত্রে আপনার একটি ভুল পদক্ষেপ আপনাকে এই সম্পর্কের টানাপোড়েনে ফেলে দিতে পারে। তাই দিনের শুরুটা করুন বুঝেশুনে। পুরানো জিনিস মাথায় না রাখাসম্পর্কের ক্ষেত্রে এই ব্যাপারটি খুবই বাজে। আপনি হয়তো খুব ভালো একটা সময় কাটাচ্ছেন ঠিক তখন আপনার সঙ্গী এমন একটি পুরানো কথা বলল, যাতে আপনার মনের সব আনন্দ শেষ হয়ে গেলো নিমিষেই। এতে ভালো তো কিছুই হবে না বরং মন্দ হবে। সম্পর্কের সবচেয়ে খারাপ দিক হচ্ছে আপনি যখন অন্য কারো সমস্যার কথা শোনেন ঠিক তখন আপনি আপনার পুরানো দিনের কথার সঙ্গে সেই কথাগুলোকে মেলাতে থাকেন। সবকিছুই যে আপনার সাথে মিলে যাবে তা নয়। ব্যতিক্রম ঘটবেই এমনটা মনে রাখুন।যেভাবে দেখছেনদৃষ্টিভঙ্গীতে পরিবর্তন আনুন। আপনি যেভাবে ভাবছেন ঠিক তেমনটাই হবে এমন ভাবা ঠিক নয়। অযথা রাগ করছেন, মন খারাপ করছেন অথবা আপনার পাশের মানুষটির সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছেন- এমন কখনো করবেন না। একজন রাগ করলে আরেকজন যতটা সম্ভব সামলে নিন। পরবর্তীতে তাকে ব্যপারটি বুঝিয়ে বলুন। তাকে ভালোবেসে এবং সে যেভাবে বোঝে তাকে ঠিক সেভাবেই বুঝিয়ে বলুন। মতের মিলমতের মিল আর অমিল সব সম্পর্কের মাঝেই থাকে। তাকে সামাল দিয়ে এগিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। কখনো মতের অমিল হলে নিজের কাঁধে সব কিছুর ভার নিয়ে নেবেন না। নিজেকে এভাবে বুঝিয়ে নিন যে এটাই স্বাভাবিক। ধীরে ধীরে দুজন দুজনকে বুঝে নেবেন। এইচএন/এমএস

Advertisement