গরমের সময় ঘরের শান্তি আর স্নিগ্ধতা বজায় রাখতে নির্বাচন করতে হবে, হালকা বা হালকা উজ্জ্বল রং ও ছিমছাম নকশা করা পর্দা। যদি ঘরের মধ্যে রোদ বেশি এলে একটু ভারী পর্দা ব্যবহার করা ভালো। তবে সুতির ও খাদির কাপড়ের তৈরি পর্দাগুলো চোখে আরাম দেবে ও বাতাস চলাচলে সহায়তা করবে। ঘেরে ভারী পর্দা ব্যবহার করলে পিছনে টিস্যু, নেট, মসলিন কাপড়ের পর্দা ব্যবহার করলে ভালো দেখাবে। বাতাস চলাচলের প্রয়োজনে ভারী পর্দা সরিয়ে দুইপাশে বেঁধে রাখলে সুন্দর দেখাবে। অতিরিক্ত রোদে খাদি কাপড়ের রং জ্বলে যাবার ভয় থাকে। তাই গরমের সময় আইধরনের অরদা ব্যবহার না করাই ভালো। যদি ব্যবহার করতেই চান, তাহলে, পর্দার লাইনিং হিসেবে মার্কিন কাপড় বা পুরোনো পর্দা লাগিয়ে নিতে পারলে এই সমস্যাটি অনেকাংশেই কমে যাবে। এছাড়াও পর্দা নির্বাচনে সুতির কাপড়ের বাইরে পাতলা সিল্ক অথবা জর্জেটের কাপড় বেছে নেয়া যায়।আপনার বাড়ির সব ঘরের রং যদি একই হয়, তবে পর্দা নির্বাচনে বিভিন্ন রং আর নকশা ব্যবহার করতে পারেন। সেক্ষেত্রে মাস্টার বেডরুমে চাঁপা সাদা, হালকা নীল, বাদামি, ধূসর রঙের পর্দা প্রশান্তি আনবে। হালকা সবুজ মানাবে খাবার রুমের সঙ্গে। অন্যদিকে ড্রয়িংরুমে হালকা কমলা রং অতিথিদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবে। হালকা বেগুনি ও আকাশি রঙের পর্দা রোমান্টিক পরিবেশ তৈরি করবে নতুন দম্পতিদের জীবনে। বয়স্কদের জন্য চাঁপা সাদা রংটা বেশি মানানসই। অন্যদিকে আবার কিশোরীদের জন্য বেগুনি, হলুদ, গোলাপি ও ছেলের ঘরের জন্য ধূসর, নীল রংটি মানানসই। বাচ্চাদের ঘরের পর্দা তাদের পছন্দসই কার্টুন দিয়ে রাঙিয়ে দেয়া যায়। ঘর যদি ছোট হয়, তবে পর্দার রং আর নকশা হালকা ধরনের হলে ভালো লাগবে। দেয়ালের রং সাদা হলে তার বিপরীত রঙের পর্দা বেছে নেয়া ভালো। আর পর্দা জেই রঙের হবে, বিছানার চাদর কিংবা কুশন কভারে সেই রং ব্যবহার করলে দারুণ লাগবে। খাবার রুমের পর্দার রঙের সাথে মিলিয়ে টেবিল ম্যাট ব্যবহার করা যায়। পর্দায় বৈচিত্র্যতা আনতে পুরোনো জামদানি, নকশিকাঁথা, শাড়ি দিয়ে তৈরি করতে পারেন পর্দা। পছন্দমতো ব্লক, টাইডাই করিয়ে নিতে পারেন। সব সময় এক সেটের বেশি পর্দা তৈরি করে রাখুন। খুব বেশি ময়লা হয়ে যাওয়ার আগেই পর্দা পাল্টে দিন। বাসায় জানালা বড় হলে, সেক্ষেত্রে দুটি নকশার পর্দা মিলিয়ে টাঙিয়ে দিন। তাতে রঙিন হয়ে উঠবে পরিবেশ। এইচএন/এমএস
Advertisement