বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, পর্যটন নিয়ে এখন আমরা উপরতলার লোকজন যত না ভাবি তার চেয়ে বেশি সাধারণ লোকজন চিন্তা করে। এ জন্য ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেশে বিভিন্ন ধরনের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। রোববার বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড মিলনায়তনে কুয়াকাটা বিচ কার্নিভাল সম্পর্কিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।এ সময় বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এসএম গোলাম ফারুক, পর্যটন কর্পোরেশন চেয়ারম্যান অপরূপ চৌধুরী, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও আখতারুজ্জামান খান কবির, উপব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) আকতার আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।আগামী ১৪-১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য এ কার্নিভালে প্রতিদিনই পর্যটকদের জন্য থাকবে নানা আনন্দ-বিনোদনের ব্যবস্থা। থাকবে বিচ ফুটবল, বিচ ক্রিকেট, হাডুডু, ভলিবল, ঘুড়ি ওড়ানো, দাঁড়িয়াবান্দা, ওয়াটার বাইক, এটিভি রাইডস, বোট বোয়িং, বিচ লাইটিং, ক্যাম্পফায়ার, কুয়াকাটা-সুন্দরবন সি-ক্রুজিংসহ নানা আয়োজন।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি মনে করি এখন কুয়াকাটা যাতায়াতের ব্যবস্থা খুব ভালো। আগে সেখানে যেতে অনেকগুলো ফেরি পার হতে হতো। কিন্তু এখন মাত্র একটি ফেরি। এছাড়া আকাশ পথেও সেখানে যাওয়া যায়।তিনি বলেন, এই কার্নিভালের নিরাপত্তার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে ট্যুরিস্ট পুলিশ ছাড়াও জেলা পুলিশ থাকবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।এর আগে লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও আখতারুজ্জামান খান কবির বলেন, এই কার্নিভালে স্থানীয় জনসাধারণকে সম্পৃক্ত করার জন্য স্থানীয় পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হবে। প্রথম দিন র্যালিতে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজসহ জেলার সংসদ সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।এই কার্নিভালের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, কুয়াকাটা বিচকে প্রমোট করা এবং দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় করে তোলাই মূল উদ্দেশ্য। এছাড়া কুয়াকাটার আকর্ষণ ও সুবিধাদি সবাইকে জানানো।তিনি বলেন, ১৬ জানুয়ারি সোমবার সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ কার্নিভালের সমাপ্তি ঘটবে।এইচএস/বিএ/জেআইএম
Advertisement