একবিংশ শতাব্দীতে প্রত্যেক পুরুষ সপ্তাহে অন্তত ৪০ মিনিট পর্নোগ্রাফি দেখে বলে জানাচ্ছে একটি জরিপ।
Advertisement
কিন্তু ধর্মীয় এবং সমাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে তো বটেই, চিকিৎসাশাস্ত্রও এতোদিন বলে আসছিল, পর্ন দেখা যৌনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
মনোচিকিৎসক নরম্যান ডয়েজ তার বই ‘দ্য ব্রেন দ্যাট চেইঞ্জেস ইটসেল্ফ’ এ দেখিয়েছিলেন, তার রোগীদের মধ্যে যারা পর্ন দেখে, তারা সত্যিকারের জীবনে যৌন মিলনে কম আগ্রহী হয়। অর্থাৎ পর্ন দেখার সঙ্গে যৌন নিরাসক্তির সম্পর্ক খুঁজে পান তিনি।
কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণার ফলাফল ঠিক উল্টো কথা বলছে। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার একদল গবেষক তাদের গবেষণালব্ধ ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন, পর্নোগ্রাফি দেখা বরং যৌনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব রাখে।
Advertisement
এই গবেষকরা ২৮০ জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ওপর গবেষণা চালান এবং দেখেন যে, যে লোকটি পর্ন দেখছেন না, তার যৌন উদ্দীপনাও কম। যৌন উদ্দীপনার হিসেবে তারা ৪০ স্কোর করতে পেরেছে। যেখানে, যে পুরুষেরা পর্ন দেখেছে তাদের স্কোর ছিল ৫০ এর ওপরে।
এদের মধ্যে সপ্তাহে যারা ২ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় পর্ন দেখেছে, তাদের সঙ্গীর সঙ্গে মিলিত হওয়া বা ব্যক্তিগত উপভোগের ক্ষেত্রে যৌন চাহিদা সবচেয়ে বেশি ছিল। মোটের ওপর পর্ন দেখার সঙ্গে যৌনমিলনে আগ্রহের ধনাত্মক সম্পর্কই খুঁজে পেয়েছেন গবেষকরা।
সম্প্রতি ‘সেক্সুয়াল মেডিসিন’ জার্নালে তারা এই গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছেন।
তবে এই গবেষণার সমালোচনাও আছে। যাদের ওপর গবেষণাটি চালানো হয়েছিল তারা সবাই ২০ বছর বয়স্ক। অন্যান্য বয়সের পুরুষদের ক্ষেত্রে এই প্রভাব তাই এ দিয়ে নির্ধারণ হয় না। অন্যদিকে, যাদের যৌনতাড়না বেশি, তারাই যে পর্নের ভোক্তা, উল্টোটা নয়, সেটিও বিবেচনার বিষয় বলে মনে করছেন সমালোচকরা।
Advertisement
এ গবেষণায় নারীদের পর্ন দেখা এবং যৌন আচরণের ওপর তার প্রভাব সম্পর্কেও কোনো কিছু বলা হয়নি।এসআরজে