খেলাধুলা

বাংলাদেশের লক্ষ্য ১৯৫

শুরুতেই কিউইদের তিন উইকেট তুলে নিয়েছিলেন বাংলাদেশি বোলাররা। রুবেলের জোড়া আঘাতের পর মোসাদ্দেকও তুলে নেন উইকেট। তখন অনেকেই ভেবেছিলেন কিউইদের হয়তো আজ অল্প রানেই বাঁধতে পারবে টাইগাররা। কিন্তু এরপরই ক্যাচ মিস আর বাজে বোলিংয়ের খেসারত দিয়ে উল্টো ১৯৪ রানের পাহাড়ে চাপা পড়েছে টাইগাররা।রোববার মাউন্ট মুঙ্গানাইয়ের বে ওভালে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানায় বাংলাদেশ। ৩৪ রানের ওপেনিং জুটি নিয়ে ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালোই করে তারা। মোস্তাফিজের অনুপস্থিতিতে মাশরাফির সঙ্গে বোলিংয়ের সূচনা করেন রুবেল হোসেন। আর নিজের দ্বিতীয় ওভারে জোড়া আঘাত করে কিউইদের কোণঠাসা করে দেন এ পেসার।জেমস নিশাম ও আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান কলিন মানরোকে ফেরান রুবেল। নিশামকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলার পর মানরোকে সৌম্যর তালুবন্দি করেন তিনি। এর দুই ওভার পর কিউই শিবিরে আঘাত হানেন অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন। টম ব্রুসকে ইমরুল কায়েসের ক্যাচ পরিণত করে বাংলাদেশকে দারুণভাবে ম্যাচে আনেন এ তরুণ।তবে বাংলাদেশের সাফল্য গাঁথা এ পর্যন্তই। এরপরই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় নিউজিল্যান্ড। কোরি অ্যান্ডারসনকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। যদিও এর জন্য তারা ধন্যবাদ দিতেই পারেন বাংলাদেশের দুই সেরা ক্রিকেটার সাকিব ও তামিমকে।কিউই অধিনায়ক সৌভাগ্যবান হলেও ঠিক তার উল্টোটাই ছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। কারণ তার ওভারেই দুই দুইবার জীবন পেয়েছেন কিউই অধিনায়ক। ১৫তম ওভারে সাকিব সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেওয়ার পর ১৮তম ওভারে আরও সহজ ক্যাচ ছাড়েন তামিম। শেষ দিকে উইলিয়ামসনকে থামান রুবেল হোসেন। ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই তাকে বোল্ড করেন ফর্মে থাকা এ পেসার। তবে আউট হবার আগে নিজের কাজটি করে গেছেন অধিনায়ক। ক্যারিয়ারের সপ্তম হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ৫৭ বলে ৬০ রান করেন তিনি। ৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি।তবে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯২ রানের ইনিংস খেলেন এন্ডারসন। শুরু থেকেই ঝড় তোলা এ ব্যাটসম্যান এ রান করতে বল খেলেন মাত্র ৪০টি। এদিন টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০টি ছক্কা মারার রেকর্ড করেন তিনি। পাশাপাশি ২টি চারও হাঁকান এ ব্যাটসম্যান। ফলে শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯৪ রানের পাহাড়ই গড়ে কিউইরা।আরটি/এমআর/এমএস

Advertisement