সায়েন্স ফিকশন ফেস্টিভালে বিশিষ্ট সায়েন্স ফিকশন লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ সায়েন্স ফিকশন সোসাইটি। শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় গণগন্থাগার প্রাঙ্গনে ফেস্টিভালের দ্বিতীয় দিনে এই বিশিষ্ট লেখককে সংবর্ধনা দেয়া হয়।এমিরেটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ড. জাফর ইকবাল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, কথাসাহিত্যিক ও কলামিস্ট আনিসুল হক, জাফর ইকবালের স্ত্রী ড. ইয়াসমিন হক, আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।জাতীয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ সায়েন্স ফিকশন সোসাইটির আয়োজনে দুই দিনব্যাপী সায়েন্স ফিকশন ফেস্টিভাল ২০১৭ শেষ হয়েছে শনিবার সন্ধ্যায়।অনুষ্ঠানে এমিরেটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, জাফর ইকবাল সবসময় সংবর্ধনা এড়িয়ে চলেছন কিন্তু আজ সবার ভালোবাসায় এখানে উপস্থিত হয়েছেন। জাফর ইকবালের লেখা গ্রন্থ ২০০ এর কাছাকাছি। এসব লেখার মাধ্যমে তিনি সবার কাছ থেকে ভালোবাসা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে তার লেখার মধ্যদিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে প্রবলভাবে টানতে পেরেছেন এবং আমাদের সবার ভালোবাসা অর্জন করেছেন।সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আমি ছোটদের বই পড়তে, কার্টুন দেখতে ভালোবাসি, আমি যখন জাফর ইকবালের বই পড়ি তখন বারবারই মুগ্ধ হই, অবাক হই। তিনি যখন বিদেশে ভালো চাকরি ছেড়ে দেশকে ভালোবেসে ফিরে এসেছিলেন তখন থেকেই এই জাফর ইকবালের প্রতি আমার ভালোবাসা, শ্রদ্ধাবোধ।ড. জাফর ইকবালের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনি যেমন ভালো ভালো বই লিখেছেন তেমনভাবে ভালো নাটকও লিখুন। আমরা একজন দর্শক-শ্রোতা হিসেবে যেন ভালো নাটকও আপনার কাছ থেকে উপহার পাই।সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে কথা সাহিত্যক ও কলামিস্ট আনিসুল হক বলেন, আমাদের দেশে সায়েন্স ফিকশনকে জনপ্রিয় করেছেন, সবার মাঝে বই পড়ার অভ্যাস সৃষ্টি করেছেন, প্রকাশকদের দাঁড় করিয়েছেন এই জাফর ইকবাল। পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থা আধুনিক করার লড়াইও করেছেন তিনি। এমন মানুষকে পেয়েই আমাদের দেশ আজ আলোকিত হচ্ছে।সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে লেজার শো, এলিয়নকে আকাশে উড়িয়ে এলিয়ন উৎসব, শিশু-কিশোরদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করার মধ্যে দিয়ে সায়েন্স ফিকশন ফেস্টিভাল আনুষ্ঠানিক সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।এএস/বিএ/জেআইএম
Advertisement