গুলশানে হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টের ভেতর যখন হত্যাযজ্ঞ চলছিল তখন জঙ্গিদের সঙ্গে নিয়মিত কথা হচ্ছিল মারজানের। হত্যাযজ্ঞের একপর্যায়ে জঙ্গিদের মোবাইলে ‘ধন্যবাদ’ লিখে এসএমএসও পাঠিয়েছিল সে। গুলশান হত্যায় তার ভূমিকা ছিল অপারেশন কমান্ডার হিসেবে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তার জঙ্গি অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটে। রাতে মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটি) ইউনিটের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় এ জঙ্গি । গুলশান হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী তামিম আহমেদ চৌধুরীর পক্ষে জঙ্গিদের অনেক নির্দেশনা ও গুলশানে নিহত জঙ্গিদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেয় সে।যেভাবে মারজান অধ্যায়ের পরিসমাপ্তিসিটি ইউনিটের উপ-কমিশনার (ডিসি) মহিবুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন কয়েকটি সড়কে চেকপোস্ট বসায় পুলিশ। রাত আড়াইটার দিকে মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধে একটি মোটরসাইকেলে দুজন যাচ্ছিল। তাদের একজনের পরনে ছিল খয়েরি রঙয়ের গেঞ্জি ও জ্যাকেট। আরেকজনের গায়ে ছাই রঙয়ের গেঞ্জি ও আকাশী রঙয়ের জ্যাকেট। তাদের দেখে সন্দেহ হলে থামতে বলে পুলিশ। তবে তারা মোটরসাইকেল না থামিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ২ থেকে ৩ টি গ্রেনেড ছোড়ে।পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় তারা মাটিতে পড়ে যায়। পরে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ জাসপাতালে (ঢামেক) নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।ঘটনাস্থল থেকে তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, ১টি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি ও কিছু বিস্ফোরক জব্দ করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। ঢামেকে তাদের দুজনের পরিচয় অজ্ঞাত দেখানো হলেও সিটি ইউনিটের কর্মকর্তারা মারজানকে শনাক্ত করেন। পরে নিহত মারজানের আরেক সহযোগী সাদ্দামকেও শনাক্ত করে পুলিশ। এআর/এমআরএম/ওআর/পিআর
Advertisement