মেঘনা গ্রুপের কাছ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া দুটি বাস দেড় মাসেও চালু করতে পারেনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) পরিবহন পুল। আনুষ্ঠানিকভাবে বাস দুটির চাবি হস্তান্তরের দিন থেকেই শিক্ষার্থীরা ব্যবহার করতে পারবে বলে ইতোপূর্বে ঘোষণা দেয়া হলেও তা থেকে এখন অনেকটাই সরে এসেছে কৃর্তপক্ষ। তারা এখনও চূড়ান্তভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বাস দুটি কাদের ব্যবহারের জন্য চালু করা হবে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।জবি পরিবহন পুল সূ্ত্রে জানা গেছে, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পরিবহনে পর্যাপ্ত গাড়ি না থাকায় মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রি বিশ্ববিদ্যালয়কে দুটি মাইক্রোবাস ও দুটি ৫৪ সিটের বড় বাস উপহার দেয় গত বছরের ২২ নভেম্বর। সেদিন জবি শহীদ মিনারের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে গাড়িগুলোর চাবি হস্তান্তর করেন মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল ও তার সহধর্মীনি। এসময় উপস্থিত থেকে গাড়ি দুটোর উদ্বোধন করেন জবি ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। তবে উপাহারে পাওয়া মাইক্রোবাস দুটি শিক্ষকদের জন্য কয়েকদিন পর চালু করা হলেও বাস দুটি এখনো চালু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। কবে নাগাদ ও কাদের ব্যবহারের জন্য বাস দুটি চালু করা হবে তাও সুনির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না প্রশাসন। এ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এদিকে, গাড়ি দুটি চালু না হলেও, কোন রুটে চলবে কিংবা কারা ব্যাবহার করবে এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মনে সৃষ্টি হয়েছে নানান প্রশ্ন। সরেজমিনে গত মঙ্গলবার দেখা যায়, প্রায় দেড় মাস ধরে জবির শহীদ মিনারের সামনে বসিয়ে রাখা হয়েছে বাস দু`টিকে। অব্যবহৃত নতুন বাস দুটির উপর জমছে ধুলার আস্তর। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকলে বাস দুটির নষ্ট হওয়ার উপক্রম। একই সঙ্গে বাস দুটিকে যেখানে রাখা হয়েছে তা ছোট্ট জবি ক্যাম্বাসে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক চলাচলের জন্য ব্যাঘাত হয়ে দাড়িয়েছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী জাগো নিউজকে বলেন, শিক্ষকদের জন্য মাইক্রোবাস দুটি চালু করেছে প্রশাসন, অথচ আমাদের বাস দুটি চালু করেনি। তাই প্রশ্ন জন্মেছে বাস দুটি আদৌ শিক্ষার্থীদের দেয়া হবে কি না? দিলেও কোন রুটে তা চলাচল করবে? নাকি বাস দুটিকে শিক্ষকদের জন্য বরাদ্দ দেয়ার জন্য প্রশাসন চালু করতে গড়িমাসি করছে? এ বিষয়ে জানতে চাইলে জবি পরিবহন পুলের পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, গাড়ি চালানোর জন্য পর্যাপ্ত জনবল আমাদের নেই। এ জন্য নতুন করে দুইজন চালক নিয়োগ দিতে হবে। চালক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। নিয়োগ হয়ে গেলে গাড়িগুলো ছেড়ে দেয়া হবে।কারা গাড়িগুলো ব্যবহার করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারছি না। তবে শিক্ষার্থীদের জন্যই থাকার কথা। আমাদের মিটিং হয়েছে, সেখানে আমি প্রস্তাব করেছি। কোন রুটে চলবে জানতে চাইলে ড. মনিরুজ্জামান বলেন, যতদূর জানি গাড়ি গুলো আজিমপুর, নীলক্ষেত রুটে দেয়া হবে।তবে গাড়ি চালুর সঠিক কোন দিন-তারিখ জানাতে পারেননি তিনি। এসএম/এমএমজেড/এমএস
Advertisement