প্রবাস

পর্তুগাল প্রবাসীদের সঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ

পর্তুগালের রাজধানী লিসবনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছে বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।পাঁচ জানুয়ারি স্থানীয় সময় বেলা ১১ টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর দুইটা পর্যন্ত রাষ্ট্রদূত সকলের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। প্রথমেই সাক্ষাৎ করতে আসেন পর্তুগাল-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশন (পিবিএফএ) নেতৃবৃন্দ। রানা তসলিম উদ্দিনের নেতৃত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আরজু আহমেদ, হাবিবুর রাহমান, বাবুল সরকার প্রমুখ। এরপর বৃহত্তর ফরিদপুর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুব আলম, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক মিথুনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বিদায়ী সাক্ষাতে অংশ নেন। লিসবনস্থ মাতৃম-মনিজ জামে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূতকে ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়া হয়।এরপর বেলা ১২ টায় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাত করতে আসেন বৃহত্তর নোয়াখালী অ্যাসোসিয়েশন ইন পর্তুগালের নেতৃবৃন্দ। সভাপতি হুমায়ুন কবির জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক মহিন উদ্দিন ও সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ ১৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেন। এরপর বেলা সাড়ে ১২ টায় আসেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি নেতৃবৃন্দ। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজরুল ইসলাম শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক মহিন উদ্দিন ফুল দিয়ে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানান।এরপর সর্বশেষ রাষ্ট্রদূত`কে বিদায় সংবর্ধনা দিতে আসেন পর্তুগাল আওয়ামী লীগ। সভাপতি জহিরুল আলম জসিমের নেতৃত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক শওকত ওসমান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মিয়া ফরহাদ, আওয়ামী লীগ নেতা একে রাকিব, সিনিয়র নেতা আবুল কালাম আজাদসহ ২০ সদস্যের প্রতিনিধিদল।।উল্লেখ্য ২০১৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পর্তুগালে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ দূতাবাস। প্রতিষ্ঠার তিন মাস পরই সেখানে প্রথম রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দেন ইমতিয়াজ আহমেদ।বিগত প্রায় সাড়ে তিন বছরে তিনি পর্তুগাল-বাংলাদেশ পারস্পরিক সম্পর্ককে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। রাষ্ট্রদূতের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই কাজটি অতি সহজে সম্ভব হয়েছে। পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশীদের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সেবা প্রদান ছাড়াও তিনি পর্তুগালের লিসবন ও পর্তোতে দুটি স্থায়ী শহীদ মিনার স্থাপন করতে সমর্থ হন।বিদায়ী সংবর্ধনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূতের সম্মানে কথা বলতে গিয়ে সকলেই ইমতিয়াজ আহমেদের ভূয়সী প্রসংশা করেন এবং দূতাবাসের বিভিন্ন উন্নয়নে তার ভূমিকা তুলে ধরেন। বিদায়ী বক্তব্যে আবেগাপ্লুত কণ্ঠে রাষ্ট্রদূত বলেন, নানা সীমাবদ্ধতা ও বাধ্যবাধকতার মধ্যে থেকে সর্বদা চেষ্টা করেছি আপনাদের উপকারে আসতে, জানি না কতটুকু পেরেছি। তবে শতভাগ চেষ্টা করেছি। এই কমিউনিটি পৃথিবীর অন্য কমিউনিটির থেকে আলাদা ছিলো বলে মনে করেন তিনি। কমিউনিটির মধ্যে ঐক্যমত ঠিক রাখতে সকলের প্রতি আহবান জানান বিদায়ী এই রাষ্ট্রদূত।উল্লেখ্য রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ শিগগিরই পর্তুগাল থেকে জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগ দিচ্ছেন।এমএমজেড/এমএস

Advertisement