খেলাধুলা

উৎসব মুখর বে ওভালে যথাময়ে খেলা শুরু

নেপিয়ারে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগেও বৃষ্টির চোখ রাঙ্গানি ছিল। আগের রাতের ঝিরঝিরে বৃষ্টি খেলার দিনও সকাল পর্যন্ত মেঘ আর রোদের খেলা চলেছে; কিন্তু মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে আর বৃষ্টির কোন উপদ্রব নেই।আকাশে হালকা মেঘ থাকলেও তার অস্তিত্ব সামান্যই। জোরালো কিংবা কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস নেই। চমৎকার আবহাওয়া। বে ওভালে একটা উৎসবমুখর পরিবেশ। সামনের সময়ে আকাশের অতি নাটকীয় পরিবর্তন না ঘটলে খেলা নির্ধারিত সময়েই শুরু হবে। বাংলাদেশ সময় খেলা সকাল আটটায় শুরু হলেও মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে খেলা শুরু স্থানীয় সময় বিকেল তিনটায়। এদিকে ঘড়ির কাঁটা দেড়টা ছোঁয়ার আগেই দু’দল নেমে পড়েছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে। গা গরমের পর্ব শেষ করে এখন হালকা নকিং, ক্যাচিং  পর্ব চলছে। মাঠের উত্তর দিকে অনুশীলন করছে টাইগাররা। দক্ষিণ দিকে কিউইরা ব্যস্ত নিজেদের প্রস্তুত করার কাজে। বেলা একটা বাজতে না বাজতেই বে ওভালের বাইরে কোলাহল। দর্শকরা দলে দলে মাঠে আসছেন খেলা দেখতে। তবে যতটা খেলা দেখতে তার চেয়ে বেশি গ্রীষ্মকালীন ছুটি কাটাতে। অনেক পরিবারকে দেখা গেলো ছেলে-পুলেকে সঙ্গে নিয়ে খাবার ও পানীয় নিয়ে গাড়ী থেকে নেমে মাঠে ঢুকছেন। গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড ছাড়া এ মাঠে কোনো গ্যালারি নেই। চেয়ারও নেই। শুধু দুই দলের ড্রেসিংরুম ও গ্র্যান্ডস্ট্যান্ডের সামনে শ’দুয়েক চেয়ার পাতা। আর মাঠের পূর্ব দিকেও তাবুর নিচে একটি ক্লাব হাউজ করা হয়েছে। সেখানেই আছে শ’খানেক চেয়ার। এছাড়া পুরো মাঠের তিন দিকেই উঁচু মাটির ঢিবি। যেখানে ঘাষের মধ্যে বসে রোদ পোহানো, রঙ্গিন পানীয় পান আর ক্রিকেট ম্যাচ- সবই উপভোগ করতে প্রস্তুত নিউজিল্যান্ডের সমর্থক ও দর্শকরা। নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কের মত অত বড় স্টেডিয়াম এটা নয়। স্থায়ী অবকাঠামো বলতে শুধু গ্র্যান্ডস্ট্যান্ড। সেটাও বাংলাদেশের মিরপুরের শেরে বাংলা, চট্টগ্রামের জহুর অহমেদ চৌধুরী, ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী কিংবা খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের মত বিশাল নয়। আকারে তার অর্ধেক। এছাড়া সব অস্থায়ী অবকাঠামো। প্রেস বক্স, কমেন্ট্রি বক্স, ডি সেন্টার- সবই তাবুর নিচে। কোন রকম স্থানীয় কাঠামোয় বসে ম্যাচ কভারের সুযোগ নেই। প্রেস বক্সে বসেই চলছে টিভি সঞ্চালকদের মেকআপ। মোদ্দা কথা সব কিছুই আছে। সাজানো গোছানো। ছিমছাম; কিন্তু ছোট অবয়বে। শেরে বাংলায় বাংলাদেশ-আফগানিস্তান কিংবা জিম্বাবুয়ে ম্যাচ শুরুর আগেও যেমন সাড়া পড়ে, হৈ চৈ হয়- এখানে তার ছিটেফোটাও নেই। নিরাপত্তার কাজে চার-পাঁচজন আছেন। তারা শুধু প্রবেশ পথেই দাঁড়ানো। মৃদু ভাষায় জিজ্ঞেস করবেন কোথায় যাবেন? আর গলায় অ্যাক্রিডিটেশন থাকলে তো কোন কথাই নেই।  এক অর্থে প্রায় খোলা আকাশের নিচেই সব অবকাঠামো। হোক, অস্থায়ী এবং আকারে ছোট; কিন্তু একটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে যত রকম আনুসাঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা ও উপাদান লাগে, তার সবই আছে এখানে। এআরবি/আইএইচএস

Advertisement