খেলাধুলা

ইমরুল-সোহান-মোসাদ্দেকের উপলব্ধি

ইমরুল কায়েস, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত আর নুরুল হাসান সোহান- তিন ব্যাটসম্যানেরই একটা জায়গায় খুব মিল। আগামীকালের খেলার আগে তিনজনের উপলব্ধি অভিন্ন। সবারই উপলব্ধি, নিউজিল্যান্ডের উইকেটগুলো খুব কঠিন বা জটিল নয়। তবে এসব কন্ডিশনে উইকেটে গিয়েই বিগ শটস খেলা যায় না। ফ্রি-স্ট্রোক প্লে-ও অনেক কঠিন। একটু সময় নিয়ে রয়ে-সয়ে সেট হয়ে খেলার চেষ্টাই প্রথম করণীয় বলে মন্তব্য করেন তিনজন। এমন নয় কথা বলার সময় তিনজন একসঙ্গে ছিলেন। তিন জনের মধ্যে ওপেনারের কোটায় আগেভাগে ব্যাটিং করেন ইমরুল কায়েস। সাব্বির তার পরপরই নেটে ব্যাটিংটা সারেন। আর নুরুল হাসান সোহান ব্যাটিংয়ে নামেন নেটের শেষ দিকে। তিনজন তিন পৃথক জায়গায় ব্যাটিং শেষে জাগো নিউজের সাথে কথা বলেন। অল্প বিরতিকে কথা হয় মোসাদেদ্দক হোসেন সৈকত আর নুরুল হাসান সোহানের সাথে। তিনজনের কথায় একটা বড় মিল। প্রত্যেকে ধরে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে উইকেটে গিয়েই ইচ্ছেমতো শটস খেলা বেশ কঠিন। তাই সবার কণ্ঠে একটাই উপলব্ধি- উইকেটে গিয়েই তেড়েফুড়ে হাঁকানো চলবে না। একটু ধীরেসুস্থে খেলা শুরু করতে হবে। সেটাই বাংলাদেশের কন্ডিশনের সাথে সবচেয়ে বড় অমিল।  অন্যদিকে নেটের মাঝামাঝি ব্যাটিং করাতে যান। স্থানীয় এক নেট বোলারের বলে নেটে ব্যাটিংয়ের সময় ব্যাট ভেঙে গেল নুরুল হাসান সোহানের। এমনিতেই একটু নড়বড়ে ছিল ব্যাট। পরে স্থানীয় এক তরুণ পেসারের ইয়র্কার প্রতিহত করতে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নীচের অংশটা পুরোপুরি ভেঙে দু`টুকরো হয়ে গেল। ব্যাট ভাঙলেও ব্যাটিং থেকে এক মুহূর্তর জন্য মনঃসংযোগ অন্যত্র সরেনি সোহানের। ব্যাটিং শেষে ছুটলেন কিপিং প্র্যাকটিসে। কিন্তু জাগো নিউজের সাথে কথা বলতে ভুল হলো না। মোসাদ্দেক সৈকতও নেটে ব্যাটিং শেষে অল্প একটু কথা বললেন। তারও সেই একই কথা, কোনোভাবেই নতুন বলে পিচে গিয়েই চালানো যাবে না। তিনজনের কথার সারমর্ম হলো, নিউজিল্যান্ডের পিচগুলা বাংলাদেশের মতো না। আরও শক্ত, আরও ফাস্ট। সঙ্গে কনকনে আর কখনো কখনো তীব্র বাতাসে ম্যুভমেন্টও হয় বেশি। সেই পেস, বাউন্স ও ম্যুভমেন্টের সাথে উইকেটে গিয়ে সখ্য তৈরি করতে হয়। খানিকটা সময় সিঙ্গেলস-ডাবলসে খেলে খেলে খানিকটা পথ এগিয়ে যাওয়া। তারপর একদম সেট হয়ে হাত খুলে খেলা। কাজেই কোনভাবেই আগামীকাল প্রথম থেকেই তেড়েফুড়ে মারার চিন্তুা ঝেরে-মুছে বিকল্প পথ খুঁজে বের করেছেন ইমরুল, মোসাদ্দেক ও নুরুল হাসান সোহান। তাদের শেষ কথা, ‘আমাদের দেশের উইকেটে যেমন গিয়েই ব্যাট চালানো যায়। ব্যাট হাতে রীতিমতো ঝড় তোলা যায়। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের পিচে ওভাবে খেলার চেষ্টা বৃথা। কেউ উইকেটে গিয়ে ঝটপট রানটাকে বাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেই বিপদ। এনইউ/এমএস

Advertisement