খেলাধুলা

ব্যাটিং অ্যাপ্রোচে পরিবর্তনের চিন্তা টাইগারদের

নেপিয়ারে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগের দিন বাগড়া দিয়েছিল বৃষ্টি। ইলশে গুঁড়ি আর ঝিরঝিরে বৃষ্টিতে ধুয়ে মুছে গিয়েছিল টাইগারদের অনুশীলন। তবে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে আর বৃষ্টি বাধা হয়ে আসেনি। তার বদলে আজ ভোর থেকেই মেঘমুক্ত নীল আকাশ। রোদ ঝরঝরে সোনালি দিন। বিকেলের দিকে দমকা আর কনকনে বাতাস বইতে শুরু করলেও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চমৎকার আবহাওয়া ছিল। যার সাথে বাংলাদেশের বর্তমান আবহাওয়ার মিল অনেকটাই। এরকম ক্রিকেট উপযোগী পরিবেশে হলো দ্বিতীয় ম্যাচের আগের দিনের অনুশীলন। যে মাঠে আগামীকাল খেলা হবে, তার ঠিক পাশেই নেট। পাশাপাশি অন্তত চার-পাঁচজন ব্যাটিং করা যায়। সেখানেই দীর্ঘ সময় ধরে চললো নেট। এরপর ফিল্ডিং ও ক্যাচিং প্র্যাকটিসও করানো হলো। সেটা হলো মূল মাঠ ‘বে ওভালের’ ভেতরে। স্থানীয় সময় সকাল ৯টা (বাংলাদেশ সময় রাত ২টা) থেকে শুরু হলো প্র্যাকটিস। চললো প্রায় দুপুর ১২টা পর্যন্ত। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে কোনো নতুনত্ব নেই। প্র্যাকটিস শুরুর আগে ড্রেসিং রুমে লম্বা টিম মিটিং। প্রায় ৪০/৪৫ মিনিটের ওই টিম মিটিং শেষে শুরু হলো নেট। মাশরাফি, তামিম, সাকিব, মাহমুদউল্লাহরা যখন নেটে, ঠিক তখন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমসহ মমিনুল হক, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম ও কামরুল ইসলাম রাব্বিকে নিয়ে ছোটখাটো একটা মিটিং সেরে ফেললেন। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ওই দুই মিটিং শেষে রসিকতার সুরে বললেন, ‘ভাইরে কোচ একবার মিটিংয়ে বসলে ওঠার নাম নেই।’ কোচ তার কালকের টিম মিটিংয়ে কি বলেছেন? তা জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন সবাই। তবে অধিনায়ক মাশরাফি, প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, ওপেনার ইমরুল কায়েস, দুই ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান রুম্মন ও মোসাদ্দেক হোসেনের সাথে কথা বলে বোঝা গেল ব্যাটসম্যানদের নিয়েই বেশি কথা হয়েছে। কারণ ইমরুল, সাব্বির ও মোসাদ্দেক একই সুরে কথা বলেছেন। তিনজনের কথার সারমর্ম হলো- এ উইকেটে শুরুতে একটু রয়েসয়ে খেলতে হবে। ইনিংসের শুরুতে ব্যাট চালাতে হবে একটু সতর্ক ও সাবধানে। পরিবেশ-পরিস্থিতির সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে বল যখন মাঝ ব্যাটে লাগতে শুরু করবে, তখন খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আক্রমণাত্মক শটস খেলায় মনোযোগ দিলে সফল হওয়া যাবে। মোদ্দাকথা, উইকেটে গিয়েই তেড়েফুড়ে মারার ওপর একটা অঘোষিত নিষেধাজ্ঞার মতো চলে এসেছে। তা যদি হয়, ক্ষতি কি? নেপিয়ারে ওই অতি আক্রমণাত্মক সূচনার ফল হয়েছে করুণ। অযথা তাড়াহুড়ো করে বিগ শটস খেলার চেষ্টাই বিপদ ডেকে এনেছিল। ৩০ রানের মধ্যে চার টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান ফিরে গেছেন সাজঘরে। এতে তামিম, সাব্বির, সাকিব ও মোসাদ্দেক ১০ থেকে ২০-এর মধ্যে আউট হয়েছেন। একমাত্র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ রয়েসয়ে ধীরে ধীরে সিঙ্গেলস-ডাবলসে ইনিংস সাজিয়ে তারপর বিগ হিটে গেছেন, আর তাতেই মিলেছে সাফল্য। তার নামের পাশেই লেখা হয়েছে ফিফটি। এ কারণেই তেড়েফুড়ে শুরু বাদ দিয়ে ব্যাটসম্যানদের চিন্তা ধীরে-সুস্থে শুরু। তারপর সেট হয়ে বিগ শট খেলতে যাওয়া। অনভ্যস্ত কন্ডিশনে সেটাই হতে পারে কার্যকর দাওয়াই। এনইউ/এমএস

Advertisement