ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম বলেছেন, ১০ থেকে ১২ জন সংবাদকর্মী দলীয় মতাদর্শে ও অর্থের বিনিময়ে সরকার বিরোধী ব্লগে উস্কানিমূলক তথ্য প্রচারের কাজ করছে। তাদেরকে সনাক্ত করা হয়েছে। খুব শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।সোমবার রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, বাঁশেরকেল্লা নামে ব্লগের এডিটোরিয়াল এডমিন জিয়াউদ্দিন ফায়াদকে আটক করে সংবাদ সম্মেলনের ঠিক ১০ মিনিটের মাথায় বাঁশের কেল্লার এডমিন থেকে আবারো পোস্ট করা হয়। যিনি এই পোস্ট করেছেন তিনি দেশের ভেতরেই রয়েছেন। তার অবস্থান ও পরিচয় সনাক্ত করা গেছে। খুব শিগগিরই তাকে গ্রেফতার করা হবে।তিনি বলেন, ২০১০ সালে ৩০ জন দক্ষ যুবক দেশে সরকার বিরোধী প্রচারণা, বিচারক ও বিচার ব্যবস্থা এবং ভিআইপিদের নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক প্রচারণার জন্য ‘বাঁশেরকেল্লা’ ফেসবুক পেইজের এডিটোরিয়াল অ্যাডমিনে কাজ শুরু করে। তাদের প্রশিক্ষণও দেয়া হয়। এদের মধ্যে দলীয় বিবেচনায় ও অর্থের বিনিময়ে ২০ জন ফুলটাইম কাজ করেন।তিনি বলেন, গত ১২ জানুয়ারি রাতে জিয়াউদ্দিন ফাহাদকে কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজের শিক্ষকদের আবাসিক এলাকা থেকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।শিবিরের প্রচার শাখার সাথে জড়িত ফাহাদের বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালিতে। সম্প্রতি সেখানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সেখানে প্রায়ই পরিদর্শনে যেতেন ফাহাদ। ওই অস্ত্রভাণ্ডার ও জঙ্গি প্রশিক্ষণের সাথে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।মনিরুল ইসলাম বলেন, ফুল টাইমের বাইরে বেশ কিছু যুবক পার্টটাইম ব্লগে কাজ করছে। তাদের ২/৪ হাজার টাকা থেকে শুরু করে কাজের ভিত্তিতে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন দিয়ে থাকে শিবির। ব্লগের যে পোস্টটি বেশি হিট হয় পোস্টকারীকে আরও বেশি অর্থ দেয়া হয়।ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়া এবং অধিকাংশ অনলাইন পত্রিকার ১০/১২ জন রিপোর্টার শিবিরমনা ব্লগারদের হাতে সরকার বিরোধী ও উস্কানিমূলক তথ্য প্রচারে কাজ করছে।অভিজিত হত্যা মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিজিত হত্যার তদন্ত কাজ চলছে। ফিজিক্যাল তথ্যের বাইরে আরও কিছু তথ্য আমরা সংগ্রহ করেছি। চলতি মাসেই এফবিআই এর একজন এক্সপার্ট দেশে আসছেন। তিনি আসলে হত্যাকারীদের ধরতে সহজ হবে।জেইউ/এআরএস/এমএস/ এমএএস
Advertisement