গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। মোবাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের এক ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দিয়েছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। এছাড়া ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক নারী শিক্ষককে যৌন হয়রানি করেছেন বলেও রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। ওই রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) লিখিত আবেদন করেছে সংশ্লিষ্টরা। বিষয়টি স্বীকার করে ইউজিসির বেসরকারি শাখার উপ-পরিচালক জেসমিন পারভীন বলেন, গণবিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি ফাইল আকারে কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। যৌন হয়রানির একাধিক অভিযোগের বিষয়ে এর আগেও দেলোয়ার হোসেনের কাছে চিঠি দিয়ে জানতে চায় ইউজিসি। সর্বশেষ চিঠি দেয় গত ৬ নভেম্বর।৭ ডিসেম্বর চিঠির জবাব দেন রেজিস্ট্রার। কিন্তু ওই চিঠিতে অভিযোগগুলোর কোনো সদুত্তর পায়নি কমিশন। সম্প্রতি এক ছাত্রীর সঙ্গে তার কথোপকথন সিডি আকারে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগগুলো নিয়ে শিগগিরই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে ইউজিসি সূত্র নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, গত নভেম্বরে রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের ওই শিক্ষার্থীকে ফোনে কু-প্রস্তাব দেন রেজিস্ট্রার দেলোয়ার। এর আগেও তাকে একাধিকবার উত্ত্যক্তের চেষ্টা করেন তিনি। পরে বিরক্ত হয়ে ওই ছাত্রী রেজিস্ট্রারের কথোপকথন রেকর্ড করেন। রেকর্ডটি জাগো নিউজের হাতে রয়েছে। রেকর্ডে উত্ত্যক্তের প্রমাণ মিলেছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ক্লাসে বা বান্ধবীদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় হঠাৎ রেজিস্ট্রার তাকে ঢেকে আনতেন। এ অবস্থায় সে বিব্রত হতো। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ে জানাজানি হওয়ায় তিনি ক্যাম্পাসে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। এদিকে হুইসেল ব্লেয়ার আইন-২০১১ অনুসারে ইউজিসিতে পাঠানো চিঠিতে এক ভুক্তভোগী জানান, রেজিস্ট্রার দেলোয়ার একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সিনিয়র আরো বেশ কয়েকজন শিক্ষিকার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে লিপ্ত রয়েছেন। তবে অভিযোগের বিষয়ে দেলোয়ার হোসেন বলেন, ইউজিসি থেকে একটি অভিযোগপত্র পাঠানো হয়েছিল। আমি তার জবাব দিয়েছি। এবার যে ছাত্রী পাঠিয়েছে তার বিষয়ে আমি কিছু পাইনি বলে মোবাইল বন্ধ করে দেন।এমএইচএম/জেএইচ/এএইচ/জেআইএম
Advertisement