বিশেষ প্রতিবেদন

জেট ফুয়েলের দাম সর্বাধিক শাহজালালে

বিমানের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত জেট ফুয়েলের দাম সবচে বেশি ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে। যে কারণে কেবল রাষ্ট্রয়াত্ত বিমানই নয়, দেশের আকাশে উড়া বেসরকারি সব এয়ারলাইন্সও চলছে লোকসানের বোঝা নিয়ে।সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, দেশীয় এয়ারলাইনস কোম্পানিগুলো আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনার ক্ষেত্রে যে দামে তেল কেনে, অভ্যন্তরীণ রুটের ক্ষেত্রে একই তেল কিনতে হয় লিটারে ২০ টাকা বেশি দিয়ে। জেট ফুয়েলের মূল্যে এমন বৈষম্য দূর না হলে দেশীয় উড়োজাহাজ সংস্থাগুলোর জন্য ব্যবসায় টিকে থাকা সম্ভব নয় বলে মনে করেন এভিয়েশন ব্যবসায়ীরা। বেসরকারি এয়ারলাইন্সের একাধিক মালিক বিষয়টিকে ভারসাম্যহীন বলেও মন্তব্য করেছেন।নাম প্রকাশ না প্রকাশের শর্তে বিমানের একজন পরিচালক আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, তেলের ভারসাম্যহীন দামের কারণে বিমান দেউলিয়া হয়ে গেছে।  এ বিষয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এমডি মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জাগো নিউজকে বলেন, দেশীয় বিমান সংস্থাগুলো জেট ফুয়েল কিনছে আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে বেশি দামে। জেট ফুয়েলের দামে বড় ধরনের অসামঞ্জস্য রয়েছে।আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে শাহজালালের জেট ফুয়েলের তুলনামুলক চিত্র বলতে গিয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, গত রোববার বছরের প্রথম দিনে শাহজালাল বিমানবন্দরে প্রতি গ্যালন জ্বালানি তেলের মূল্য ছিল ২ দশমিক ৫৬ ডলার। একই সময়ে বেইজিংয়ে জেট ফুয়েলের দাম ছিল ১ দশমিক ৩৭ ডলার, কুয়ালালামপুরে ৯৪ সেন্ট, দিল্লিতে ছিল ১ দশমিক ৪৩ ডলার।তিনি বলেন, ৪০ হাজার গ্যালন জেট ফুয়েল যদি একটি ফ্লাইটে লাগে, তবে এক ডলার করে বেশি দিলে ৩২ লাখ টাকা অতিরিক্ত খরচ হয় জ্বালানিতে। তেলের দাম বিশ্ববাজারে কমলেও বাংলাদেশে কমেনি বরং বাড়ানোর সুযোগ খোঁজা হচ্ছে। প্রতি ফ্লাইটে মোটা অংকের অর্থ বাড়তি খরচ হওয়ায় অনেক রুটেই লাভের মুখ দেখা যাচ্ছে না।সঙ্গত কারণেই তিনি আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শাহজালালে জেট ফুয়েলের দাম নির্ধারণের আহ্ববান জানান। তা না হলে চড়া দামে তেল কিনে দিনের পর দিন লোকসান দিয়ে এয়ারলাইনস ব্যবসায় টিকে থাকা সম্ভব নয়।আরএম/এমএমজেড/আরআইপি

Advertisement