ভারতে পাচার হওয়া শিশুসহ ৩৪ নারী দীর্ঘ তিন বছর পর বুধবার রাতে বেনাপোল চেকপোষ্ট দিয়ে দেশে ফিরে এসেছে। ভালো চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে এদেরকে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভারতে পাচার করা হয়েছিল। ভারত সরকারে দেয়া ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে অবশেষে তারা দেশে ফেরত আসেন। এসময় বিজিবি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বেনাপোল চেকপোষ্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, ভারতের মুম্বাইয় শহরে ভালো চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে পাচারকারীরা এসব বাংলাদেশী নারীকে ভারতে পাচার করেছিল। পরে ভারতীয় পুলিশের অভিযানে তারা আটক হয় । সেখান থেকে তাদেরকে পাঠানো হয় মুম্বাই শহরের নবজীবন,কাচকূর্বা ও দিওয়ানা শেল্টার হোমে। সেখানেই কেটে যায় তাদের দীর্ঘ তিন বছর। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি চালাচালির পর তাদেরকে ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।ফেরত আসা নারীরা হলো- বেনাপোলের বৃষ্টি খাতুন, চাপাইনবাবগঞ্জের জোৎস্না খাতুন, ঢাকার রূপনগরের মনি খাতুন,বান্দরবানের মরিয়ম বিবি, শারমিন আক্তার, দিনাজপুরের মুক্তা মনি, রোমেসা, রাবেয়া, যশোরের বিলকিস বেগম, নাজমা বেগম, রোকেয়া বেগম, রানি খাতুন, রিমা খাতুন, চায়না খাতুন, খাদিজা বেগম-১, খাদিজা বেগম-২, আদুরী বেগম, আকলিমা খাতুন, শিউলী খাতুন, আফিরোন খাতুন, খুলনার হেলেনা, মায়মনসিংহের মরিয়ম খাতুন, সীমা খাতুন, লোহাগড়া নড়াইলের লিপি খাতুন, পিয়ারী বেগম, কেয়া খাতুন, সাতক্ষীরার শাহানারা বেগম, পাবনার রেজমা খাতুন, শরিয়ত পুরের রুমা খাতুন, সীমা খাতুন নোয়াখালীর রাবেয়া খাতুন, পাবনার রেজমা খাতুন ও শিশু আনিতা।ফেরত আসারা জানায়, দালালরা ভারতের মুম্বাইয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে তাদের কাছ থেকে দুই থেকে তিন হাজার টাকা করে নিয়ে ভারতে পাচার করে। দীর্ঘ তিন বছরের দুর্ভোগ শেষে তারা দেশে ফিরেছে।
Advertisement