ভ্রমণ

আফতাবনগরে একটু নীরবতা

কর্মব্যস্ত সময় আর নগরীর ঘিঞ্জি পরিবেশের কারণে ঘুরতে যাওয়া হয় না আশপাশে। অথচ রাজধানী ঢাকার ভেতরেই রয়েছে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার জায়গা। ঢাকার মধ্যে যারা খোলামেলা জায়গা খুঁজে বেড়ান; তারা ঘুরে আসুন আফতাবনগরে।আফতাবনগররাজধানীর রামপুরা ব্রিজে নেমে একটু সামনে গেলেই আফতাবনগর। রামপুরা ব্রিজ থেকে উত্তর দিকে আগালে জহুরুল ইসলাম সিটি লেখা গেট চোখে পড়বে। সেই গেটের ভেতর দিয়ে সোজা গেলেই আফতাবনগর।বৈশিষ্ট্যআফতাবনগরে বিশাল খোলা প্রান্তর, দুই পাশে গাছের সারি ঘেরা প্রশস্ত রাস্তা। পাবেন নাম না জানা পাখির কলতান আর নিজের জন্য অবারিত নীরবতা। রয়েছে সুদীর্ঘ রাস্তা, যেখানে চাইলে রিকশা ভ্রমণও করতে পারেন। এর শেষ প্রান্তে রয়েছে বিশাল নদী ও বালুচর। নদীর পাড়ে বসে চলে যেতে পারেন শৈশব-কৈশোরের দেখা স্বপ্নরাজ্যে। এছাড়া এখান থেকে দেখতে পারেন অপূর্ব সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত। আফতাবনগর বেশি আকর্ষণীয় হয় শরৎকালে। কাশফুলে সাদা হয়ে যায় চারদিক।সাবধানতাতবে এখানকার পরিবেশ সন্ধ্যায় বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই সন্ধ্যা পর্যন্ত থাকার ইচ্ছা থাকলে দল নিয়ে যাওয়াই নিরাপদ। এছাড়া পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিয়ে যাওয়াই ভালো।কীভাবে যাবেন দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় আসতে হবে। রামপুরা ব্রিজে নেমে একটু আগালেই আফতাবনগর। এছাড়া রামপুরার ভেতরে বনশ্রী যাওয়ার পথে অনেকগুলো ব্রিজ আছে, যেগুলো পার হয়ে আফতাবনগরে যেতে পারবেন। বাহনরামপুরা ব্রিজ থেকে হেঁটে অথবা রিকশায় যেতে পারেন। রিকশা ভাড়া নেবে ৪০-৫০ টাকা। চাইলে ঘণ্টা হিসেবেও রিকশা ভাড়া নিয়ে ঘুরতে পারেন। সেক্ষেত্রে ভাড়া ৬০-৮০ টাকা ঘণ্টা হতে পারে। খাবারএকদম ভেতরে খাবারের কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই পানি এবং হালকা স্নাক্স সঙ্গে রাখতে পারেন।এসইউ/জেআইএম

Advertisement