জাতীয়

আমরা নিঃস্ব দেউলিয়া

রাজধানীর গুলশান-১ অগ্নিকাণ্ডে ডিসিসি মার্কেট ও ডিসিসি কাঁচাবাজারের মোট ৬০৫টি দোকান পুড়ে গেছে। এতে প্রতিটি দোকান মালিকের অন্তত ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সর্বস্ব হারিয়ে তারা এখন নিঃস্ব। চোখের সামনে পুড়ে যাওয়া দোকান দেখে অনেকেই মার্কেটের সামনে হাউ-মাউ করে কান্না করছেন।ডিসিসি দোকান মালিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি এমএম খায়রুল আলম জাগো নিউজে জানান, মার্কেটে তার দুটি দোকান রয়েছে। তাতে অন্তত এক কোটি টাকার মালামাল রয়েছে। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আমি এখন নিঃস্ব, দেউলিয়া। ব্যাংকের লাখ লাখ টাকা ঋণ রয়েছে। এ টাকা কিভাবে পরিশোধ করবো? কেন আমাদের এ ক্ষতি করা হয়েছে? ফায়ার সার্ভিস চেষ্টা করলে মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারতো।’এই দোকানি ও দোকান মালিক সমিতির নেতা অভিযোগ করে বলেন, রাতে আগুন লাগার খবর শুনে ঠিক আড়াইটার দিকে আমি ছুটে আসি। দেখি ফায়ার সার্ভিসের দুটি গাড়ি আসলেও তারা পানি ছিটাচ্ছে না। আমি তাদেরকে আরো দুটি গাড়ি দেয়ার অনুরোধ করি। কিন্তু তারা দেয়নি। তাদের হাতে কোনো আলোও ছিল না। পুরো ভবন ছিল অন্ধকার। তিনি আরও জানান, কাঁচাবাজার থেকে আগুন আমাদের মার্কেটে (ডিসিসি মার্কেট) ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার মাত্র আধা ঘণ্টার মধ্যেই বাজার ধসে পড়ে। এখনো তাদের (ফায়ার সার্ভিসের) গাড়ি আছে। কিন্তু তাতে পানি নেই। তিনি ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেন, তারা যদি এতো সুন্দর ও পরিকল্পিত মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারে তাহলে ঢাকার আর কোনো মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারবে না। তার প্রশ্ন যদি ফায়ার সার্ভিসের যদি সক্ষমতা থাকে তাহলে কেন আমাদের মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলো না?এদিকে সকাল থেকে শতশত দোকানিকে ডিসিসি মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে দেখা গেছে। হাজী বদরুল ইসলাম নামে এক দোকানি জাগো নিউজে বলেন, ‘কেন ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলো না? তারও অভিযোগ ফায়ার সার্ভিস ঠিক মতো কাজ করেনি। আমার সন্দেহ হয় এতে তাদের অন্য কোন  পরিকল্পনা ছিলো কিনা।’ তিনি জানান, ডিসিসি মার্কেটে তার ছোট ভাই জহিরুল ইসলাম চৌধুরীর দুটি দোকান রয়েছে। দোকন নম্বর ৩৯ ও ৪০। এতে অন্তত এক কোটি টাকার মালামাল আছে। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দোকানেও নগদ টাকা ছিলো। এখন কিছু্ই নেই। তারা এখন নিঃস্ব।এমএসএস/জেইউ/এমএমজেড/জেআইএম

Advertisement