খেলাধুলা

টি-টোয়েন্টিতে ফেবারিট বলতে কিছু নেই

ক্রিকেটে যে কোনো দলের শক্তি নিয়ে যে কথাগুলো বলা হয়, কন্ডিশন এবং শক্তিশালী দল- টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এসবকে আমি তেমন একটা প্রযোজ্য মনে করি না। এগুলো প্রযোজ্য ওয়ানডে এবং টেস্টে। টি-টোয়েন্টি মূলতঃ ২-৩ ওভারের খেলা। এখানে যে ভালো করবে, সে জিতে যায়। তবুও বলবো, যোগ্যতার দিক থেকে নিউজিল্যান্ডই এগিয়ে। আমাদের দলও কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে যথেষ্ট শক্তিশালী দল। সম্প্রতি আমরা ঘরোয়া ক্রিকেটে একমাস টি-টোয়েন্টি খেলে গিয়েছি। যারা ফর্মে ছিল, তাদের মধ্যে দু’একজন ছাড়া বাকি সবাই কিন্তু জ্বলে উঠতে পারছে না। এ বিষয়টাই এখন আমাদের জন্য একটা খারাপ দিক। আগে যে তিনটা ওয়ানডে খেলেছি আমরা, এগুলো যদি মাথায় না রেখে জয়ের জন্য সবার যদি মানসিক দৃঢ়তা থাকে, তাহলে ইনশাআল্লাহ আমরা এই ম্যাচে অবশ্যই জিতবো। প্রথম থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত আমি বলে যাচ্ছি, একটা জয় কিন্তু আমাদের খুব প্রয়োজন। এই জয়টার জন্য এখনও আমি মনে-প্রানে তাকিয়ে আছি। এখানে আমাদের যে বোলার আছে, যে ব্যাটসম্যানরা আছে, ওদেরকে অনেক দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে।প্রথম ম্যাচ ছাড়া আমরা কিন্তু মুশফিককে বেশ ভালোভাবেই মিস করছি। আমাদের দলটা গোছাবার জন্য মুশফিক হলো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। ফিল্ডিংয়ের দিক থেকে কিপিংটা দারুণ করে দেন। ব্যাটিংয়েও সে দারুণ নির্ভরযোগ্য। এ ক্ষেত্রে মুশফিককে দারুণ মিস করবো আমরা। যেহেতু তার অভিজ্ঞতা আছে। খুব ভালো ব্যাটসম্যানও বটে। এ কারণে তার না থাকার কারণে আমাদের আফসোস থাকবেই। তারপরও আমার মনে হয়, যারা সিনিয়র আছে, তারা যদি দায়িত্ব নিয়ে খেলে তাহলে ইশাআল্লাহ আমরা ভালো করতে পারবো। তবে, ওদের (নিউজিল্যান্ডের) ফিল্ডিং আমাদের চেয়ে অনেক ভালো হচ্ছে। তাসকিনের পরিবর্তে রুবেলকে নেয়ার কথা শুনছি। আমার বক্তব্য হলো, বাংলাদেশ দলে যে সব ক্রিকেটার রয়েছে, তাদের সবার অবস্থা ১৯-২০। এখানে মূল বিষয়টা হচ্ছে, ভালো টিম পারফরম্যান্স প্রয়োজন। আমাদের হয়তো ফিল্ডিংটা ভালো হচ্ছে না। ব্যাটিং আপ টু দ্য মার্ক নেই। ব্যাটসম্যানরা জ্বলে উঠতে পারছে না। এ কারণে ওয়ানডের কথা ভুলে টি-টোয়েন্টিতে সব বিভাগেই ক্রিকেটারদের জ্বলে উঠাটা খুব দরকার।টি-টোয়েন্টি খেলাটা হলো পুরোটাই সেশন ভিত্তিক পারফরম্যান্সের ব্যাপার। প্রথম ৬ ওভার যদি আমরা ভালো খেলতে পারি এবং উইকেট যদি হাতে থাকে তাহলে শেষে গিয়ে আমরা বড় স্কোর করতে পারবো। আমাদের এই দলের মধ্যে বেশ কয়েকজন টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড় আছে। যেমন সাকিব। তার ওপর পুরোপুরি দায়িত্ব নির্ভর করছে। তাকেই বেশি দায়িত্ব নিতে হবে। নিউজিল্যান্ড তাদের ঘরের মাঠে শক্তিশালী দল। এটা সব সময়ই। তবে আমার কথা হলো, টি-টোয়েন্টিতে ফেবারিট বলতে আসলে কিছু নেই। যে দল এক-দুই ওভার ভালো করবে, তখন মুহূর্তেই ম্যাচের চিত্র বদলে যেতে পারে এবং তাদের জয়ের সম্ভাবনা বেশি থাকবে। কোনো দল একটা দুটা ওভার যদি ভালো বল করতে পারে কিংবা একটা দুটা ওভার খারাপ করে ফেলে তাহলে পরিস্থিতি পুরোপুরি বদলে যায়। এ কারণে দলের সবার অবদান খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দলের জন্য যা যা করার প্রয়োজন সবই করতে হবে। এ কাজটা যে দল বেশি করতে পারবে, সে দলই জয়ী হবে। আইএইচএস/

Advertisement