খেলাধুলা

নেপিয়ারে ফায়ার পাওয়ারের দরকার নেই!

ব্যাটসম্যানদের দীর্ঘ ইনিংস খেলার জোর তাগিদ সাকিব আল হাসানের। অনেকেরই ধারণা, টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিংয়ের মূল কথাই হচ্ছে ‘পাওয়ার হিটিং।’ ওই বিশ্বাস যাদের, তারা মনে করেন- ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট ফরম্যাটে যেহেতু হাত খুলে খেলা এবং যেনতেনভাবে রান করাই আসল, তাই এখানে টেকনিক, গাণিতিক, শৈল্পিকতা, নান্দনিকতা ও বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাট চালনার চেয়েও গায়ের জোরের ব্যাটিং অনেক বেশি কার্যকর। কেউ কেউ ক্রিস গেইল, এবি ডি ভিলিয়ার্স, ড্যারেন স্যামি ও আন্দ্রে রাসেলদের উপমা হিসেবে ধরেন। বলেন, ওই সব ব্যাটসম্যানরা তো অনেকটা গায়ের শক্তি খাটিয়েই বলকে সীমানার ওপারে পাঠান। তাদের বক্তব্যের যে একদমই ভিত্তি নেই, তা নয়। দীর্ঘ ও সুঠাম দেহের ব্যাটসম্যানরা সত্যিই গায়ের শক্তিকে ব্যবহার করেন। তাদের পাওয়ার হিটিং অ্যাবিলিটি সত্যিই বেশি।অনেক ভালো বলেও তারা শুধু গায়ের জোরে চার-ছক্কা হাঁকান। ওই জায়গায় বেশ কিছুটা পিছিয়ে বাংলাদেশ। ভাবা হয় টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের ভালো করতে না পারার পথে এটাও একটা অন্তরায়। কারণ মাশরাফির দলে সে অর্থে পাওয়ার হিটার নেই একজনও! ব্যাটসম্যান তকমাধারীদের মধ্যে তামিম, সাকিব, সৌম্য আর সাব্বির পাওয়ার হিটিং করতে পারেন। অধিনায়ক মাশরাফিরও শরীরের শক্তি খাটিয়ে চার-ছক্কা হাকানোর ক্ষমতা আছে। কিন্তু অন্য দলগুলো বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা যেভাবে শরীরের শক্তিকে পুঁজি করে বড় শট খেলতে পারেন, সে অর্থে তা নেই বাংলাদেশের। পাওয়ার হিটে নিজেদের ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা ও সামর্থ্যের ঘাটতির কথা জানেন টাইগার সাপোর্টাসরাও। তবে তাদের আশ্বস্ত হওয়ার মতো খবর আছে- অন্তত এ সিরিজে। বিশেষ করে নেপিয়ারের ম্যাক্লেইন পার্কে ওই পাওয়ার হিটিংয়ের অভাববোধ কম হবে। অনুমান নির্ভর কথা নয়। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বিশেষজ্ঞ সাকিব আল হাসানের কথা। আজ বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সাথে আলাপে সাকিব অমন ধারণাই পোষণ করেছেন। প্রশ্ন ছিল, বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা তো পাওয়ার হিটে দুর্বল। সে দুর্বলতা কাটানোর কোন রসদ আছে কি? তার জবাবে সাকিব বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে খুব বেশি ফায়ার পাওয়ার দরকার নেই। কারণ মাঠগুলো অতো বড় না। এখানে মাঠ ছোট। বিশেষ করে উইকেটের দুই দিকে সীমানা অনেক ছোট। কাজেই সীমানা ছাড়া করতে অত বেশি শক্তির প্রয়োজন নেই। আউটফিল্ডও ফাস্ট। আমাদের যা শক্তি আছে, তা দিয়েই মাঠ পার করা সম্ভব। সেদিক থেকে ফায়ার পাওয়ার অতটা দরকার নেই।’এআরবি/এনইউ/জেআইএম

Advertisement