জীবনের নতুন এক অধ্যায়ের নাম বিয়ে। এই নতুন জীবন আর অভিজ্ঞতায় আপনার হাতটি যে ধরে রাখে সে আপনার জীবনসঙ্গী। একটি মেয়েকে যেমন নতুন পরিবেশে এসে ভালোবেসে নিজের আশেপাশের মানুষগুলোকে আপন করতে হয় তেমনি তার স্বামীকেও তার অর্ধাঙ্গীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে হয়, সহযোগিতার হাত বাড়াতে হয়। স্ত্রীর মন বুঝে, তার চাওয়া-পাওয়াকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে পথ চলতে হয়। একজন আদর্শ স্বামী হতে হলে আপনার ভেতরে থাকা চাই কিছু গুণাবলী।
Advertisement
ভালোবাসা
যেকোনো সম্পর্কের মূল ভিত্তি হয়ে থাকে ভালোবসা। যেখানে ভালোবাসা নেই সেখানে না থাকে বিশ্বাস না থাকে ভরসা। আর স্বামী-স্ত্রীর মাঝে এই ভালোবাসা থাকা সবচেয়ে বেশি জরুরি। স্ত্রীর প্রতি স্বামীর ভালোবাসা তার স্ত্রীকে যেমন তার প্রতি আস্থাশীল হতে শেখায় ঠিক তেমনই দুজনের মধ্যকার ভালোবাসার বন্ধনকে আরো দৃঢ় করে।
তাকে আগলে রাখা
Advertisement
আপনি আপনার স্ত্রীকে যে ভালোবেসে আগলে রাখছেন তা তাকে ধীরে ধীরে আপনার কাজ দিয়ে বুঝান। এতে সে যেমন আপনাকে বিশ্বাস করতে শুরু করবে তেমনই তার প্রত্যেক সমস্যার সমাধানদাতা হিসেবে আপনাকেই বেছে নেবে। এতে সম্পর্ক হবে মজবুত আর ভালোবাসা হবে দৃঢ়। তখন পরস্পরের মধ্যকার বোঝাপড়া খুব সহজ হয়ে যাবে।
অবুঝ
আপনি তার সাথে যখন অবুঝের মতো আচরণ করবেন তা হয়তো প্রথম প্রথম তাকে আনন্দ দেবে। আবার পরে হয়তো এটিই তার কাছে বিরক্তিকর লাগতে পারে। তাই তার কথা ও কাজ যে আপনি গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন তা আপনার আচরণের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিন। মাঝে মাঝে তাকেও তার মতো করে খুনশুটি করতে বলুন। সরাসরি না বলে এদিক সেদিক ঘুরিয়ে বলুন। ছেলেমানুষী আর সিরিয়াসনেস সম্পর্কের মাঝে দুটোই থাকুক সমান গুরুত্বের সঙ্গে।
যোগাযোগ
Advertisement
আপনার স্ত্রী যখন আপনার কাছে থেকে দূরে থাকবে তখন তাকে একটু ফোন, মাঝেমাঝে মিষ্টি কিছু কথা লিখে এসএমএস করুন। এক্ষেত্রে তার মাঝেও নানাভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করার ইচ্ছা জাগবে। যা সম্পর্কে আনবে নতুন মোড় আর একে অপরের প্রতি অফুরন্ত ভালোবাসা।
এইচএন/জেআইএম