আগামী ৫ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত ফরিদপুরের শহরতলীর অম্বিকাপুর ইউনিয়নের আদমপুর এলাকায় কুমার নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বৃহত্তর ফরিদপুরের আঞ্চলিক ইজতেমা। ইতোমধ্যে ওয়াচ টাওয়ার, প্যান্ডেল, অজুখানা, টিউবয়েল, বিদ্যুৎ সংযোগ, রান্নাঘরসহ টয়লেট নির্মানের কাজ শেষ হয়েছে। ইজতেমা আয়োজনের বাকী কাজ শেষ করতে রাত-দিন করে কাজ করছে আয়োজক সংশ্লিষ্টরা। ইজতেমা উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন, এলজিইডি, পিডিবি, পিডব্লিউডি, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তারা সহযোগীতা করেছেন বলে জানান ইজতেমার আয়োজক ও সমন্বয়কারীরা।তাবলিক জামাআতের ফরিদপুরের সুরা সদস্য আবুল কাশেম জাগোনি উজকে জানান, আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল থেকে শুরু হয়ে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ ইজতেমা। যোহরের নামাজের আগে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে তিন দিনব্যাপী জেলা ভিত্তিক আঞ্চলিক ইজতেমা।ইতোমধ্যে ইজতেমা এলাকায় বাঁশ ও তাবু দিয়ে বিশাল এলাকা জুড়ে প্যান্ডেল তৈরী করা হয়েছে। যেখানে প্রায় ২ লক্ষ লোক ধর্মীয় বয়ান শুনতে পারবেন। এছাড়া আশপাশে পর্যাপ্ত খোলা জায়গা রয়েছে। অজু ও গোসলের জন্য ইজতেমা মাঠ সংলগ্ন কুমার নদের পাড়ে বাঁশের মাচা তৈরী করা হয়েছে।ইজতেমায় আগতদের সুবিধার্থে কয়েক শ’ সিমেন্টের তৈরী পাকা অজুখানা, স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে দুই সারিতে এক হাজার টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে। প্রায় ৩৫ একর জায়গা নিয়ে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলে জানা যায় সংশ্লিষ্টরা।ফরিদপুরের বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের সমন্বয়ক মো. শাহিন চৌধুরী জাগোনিউজকে জানান, জেলা ভিত্তিক আঞ্চলিক ইজতেমা আয়োজন উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসনসহ সবার সহযোগীতা নিয়ে একটি বিশাল মাঠে তিনব্যাপী ধর্মীয় আলোচনা ও বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মুসলমানদের নামাজের ব্যবস্থাটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন করতে আমরা কাজ করছি।শহর থেকে নিরাপদে ইজতেমা প্রাঙ্গণে আসা-যাওয়ার জন্য ইতোমধ্যে সব পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। ইজতেমার শুরু থেকে আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও স্বেচ্ছাসেবকদের কয়েক শ’ কর্মী ইজতেমা এলাকায় উপস্থিত থাকবে।টঙ্গীর তুরাগ নদীদের তীরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমায় ভীড় ও মানুষের কষ্ট কমাতে এ বছর দেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৩২ জেলা আঞ্চলিক ইজতেমা আয়োজনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে।এমএমএস/এমএস
Advertisement