আজ ১৫ মার্চ, বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্বাস্থ্যকর খাদ্য ভোক্তার অধিকার’। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারি-বেসরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হবে। আন্তর্জাতিক ভোক্তা আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে ভোক্তা আন্দোলনকে আরও গতিশীল করার প্রয়াসে প্রতিবছর এই দিবসটি বিশ্বব্যাপি উদযাপিত হয়ে আসছে।বিশ্বের ১১৫টি দেশে ২২০টি ভোক্তা অধিকার সংগঠন দিবসটি পালন করছে। দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) যৌথভাবে নানা কর্মসূচি পালন করবে।ভলান্টারি কনজ্যুমারস ট্রেনিং অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস সোসাইটির (ভোক্তা) নির্বাহী পরিচালক খলিলুর রহমান বলেন, একজন ক্রেতার মৌলিক অধিকারের উন্নতি সাধন, বাজার ব্যবস্থার অপব্যবহার দূর করা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং ভোক্তা অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোই দিবসটির পালনের লক্ষ্য।খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, দেশে সব ভোক্তার নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকার ১ ফেব্র“য়ারি থেকে নিরাপদ খাদ্য আইন কার্যকর করেছে। ওই আইনে খাদ্যে ভেজালের জন্য পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা এবং বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত এর কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজনীয় কাজ করছে। বিশ্বব্যাপী ক্রেতা-ভোক্তা সংগঠনগুলোর আন্তর্জাতিক সংস্থা কনজ্যুমারস ইন্টারন্যাশনালের (সিআই) আহ্বানে ১৯৮৩ সাল থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে দিবসটি উদযাপিত হয়ে আসছে। ১৯৬২ সালের এদিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি ভোক্তা অধিকারকে সংজ্ঞায়িত করেন। বিশ্বনেতাদের মধ্যে তিনিই প্রথম বিষয়টি সবার সামনে তুলে ধরেন।১৯৬৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে ভোক্তা আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও দেন তিনি। এ ভোক্তা আন্দোলনে আমাদের সবার অংশগ্রহণ জোরদার করার জন্য পালিত হয় বিশ্ব ভোক্তা বা ক্রেতা অধিকার দিবস।বিএ/এমএস
Advertisement