খুব বেশি দিন আগের কথা নয়। বাংলাদেশ দল একের পর এক সাফল্যের জোয়ারে ভাসছিল। সে সময় যারা নিয়মিত হাল ধরতেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সৌম্য সরকার। ওপেনিং কিংবা ওয়ান ডাউনে নেমে রানের ফুলঝুরি ছড়াতেন সৌম্য। আর মিডল-অর্ডারে নির্ভরতার প্রতীক ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।গত বিশ্বকাপেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। পরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও শতকের দেখা পেয়েছিলেন। এর পরেও মাহমুদউল্লাহর ব্যাট হেসেছিল প্রায় নিয়মিতই। বিপিএলেও দারুণ ফর্মেই ছিলেন তিনি। তাই নিউজিল্যান্ড সফরে তার কাছে প্রত্যাশাটা পাহাড়সম!এই প্রত্যাশাই কি তাহলে চাপ হয়ে যাচ্ছে মাহমুদউল্লাহর জন্য? তিন ম্যাচে তার ব্যাট তো মোটে হাসলোই না। যা করলেন, তা তার নামের পাশে সত্যি বেমানানই বটে। তিন ওয়ানডেতে মাহমুদউল্লাহর সংগ্রহ মাত্র চার রান! ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে প্রথম ম্যাচে রানের খাতা খোলার আগেই জেমস নিশামের বলে লুক রনকির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ। লেনসনের স্যাক্সটন ওভালে গড়ানো দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১ রান করতেই লকি ফার্গুসনের বলে সরাসরি বোল্ডআউট হন তিনি। আর তৃতীয় ওয়ানডেতে ৭ বলে করেছেন তিন রান।অপরদিকে সৌম্য সরকার তো এখন দলেই সুযোগ পাচ্ছেন না। দীর্ঘ দিন ফর্মহীনতায় ভোগা সৌম্য প্রথম ওয়ানডেতে সুযোগ দিলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি। ৮ বল মোকাবেলা করে মাত্র ১ রানেই থামে তার ব্যক্তিগত ইনিংস। যে কারণে পরের দুটি ওয়ানডেতে একাদশে সুযোগ পাননি। তবে টি-টোয়েন্টি দলেও আছেন তিনি। তাকে সেরা ফর্মেই দেখতে চাচ্ছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা!তৃতীয় ওয়ানডেতে হারের পর মাহমুদউল্লাহ-সৌম্য নিয়ে আক্ষেপ করেন টাইগার দলপতি। বলেন, ‘সৌম্য ফর্মে থাকলে ভালো হতো। মাহমুদউল্লাহ দুর্ভাগ্যজনকভাবে সফল হতে পারেনি। যারা আছে তাদের ফর্মে থাকা খুব জরুরি। আমি বিশ্বাস করি সামর্থ্যের জায়গায় আমরা পিছিয়ে নেই। স্কিল ঠিকই আছে। তবে মানসিকতাকে ওই পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারিনি, যেখানে পৌঁছালে সাফল্য ধরা দেয়। মনে হয়, এটাই পার্থক্য।’ ওয়ানডে সিরিজ এখন অতীত। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ফর্মে ফিরবেন মাহমুদউল্লাহ-সৌম্য। দলের জয়ে রাখবেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। কিউইদের বিপক্ষেই তাদের ব্যাট হাসবে, এমন প্রত্যাশা বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীর। দেখা যাক কী হয়!এনইউ/বিএ
Advertisement