বিশেষ প্রতিবেদন

আনন্দ স্কুলের ‘বেদনার’ গল্প

দেশের দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চলের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার পৌনে এক লাখ শিশুর জন্য রয়েছে সরকারি বেসরকারি ও বিভিন্ন প্রকল্পভিত্তিক প্রায় ৪০২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ উপজেলাতেই রয়েছে জেলার সর্বাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকারের পর্যাপ্ত বরাদ্দ থেকে প্রতিনিয়ত চলছে কর্তা ব্যক্তিদের তহবিল তছরুপ। খাতা-কলমে নাম সর্বস্ব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেও তারা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখো টাকা। শিশুদের বিনা পয়সার বই বিক্রি থেকে শুরু করে উপবৃত্তির টাকা পর্যন্ত আত্মসাৎ হচ্ছে। সব মিলিয়ে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে এ উপজেলায়। ১০ দিন ধরে পুরো উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষায় দুর্নীতির অনুসন্ধানে চিরুনি অভিযান চালিয়েছেন আমাদের নিজস্ব প্রতিবেদক শাহেদ শফিক। হাতিয়া থেকে ফিরে এ নিয়ে তার ৮ পর্বের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ থাকছে শেষ পর্ব।নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার প্রাথমিক থেকে ঝরে পড়া শিশুদের জন্য ১২৫টি ‘আনন্দ স্কুল’ স্থাপন করা হয়েছে। ২০১২ সাল থেকে পরিচালিত হয়ে আসা এসব স্কুলের অধিকাংশের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নামমাত্র কিছু স্কুল থাকলেও সেগুলোতে নেই পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী। প্রাথমিক শিক্ষা অফিসেও নেই এর কোনো তথ্য। বহু খোঁজাখুঁজির পর আনন্দ স্কুলের একজন ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটরের (টিসি) সন্ধান পাওয়া গেলেও প্রথমে তিনি কোনো তথ্য দিতে পারবেন না বলে অপারগতা প্রকাশ করেন। বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকেই লুকোচুরি করতে থাকে উপজেলা শিক্ষা অফিস। স্কুলগুলোর বিস্তারিত কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই বলেও জানান উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোশারেফ হোসেন। পরে স্কুলগুলোর প্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে নাজিম উদ্দিন কিছুটা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘ঢাকা থেকে হাতিয়ার তথ্য কেন জানতে চান? আমি কোনো তথ্য দেবো না। আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। আপনি মন্ত্রণালয় বা অধিদফতর থেকে তথ্য নেন।’ এরপর তাকে একটি ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হয়। কিন্তু তাতেও তিনি সাড়া দেননি। উপজেলা শিক্ষা অফিসারও তার কাছে বিদ্যালয়ের তথ্য জানতে চান। কিন্তু তিনি শুধু বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছাড়া কোনো তথ্য দেবেন না বলে জানিয়ে দেন শিক্ষা কর্মকর্তাকে। এ বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে কোনো তথ্য না পেয়ে জাগো নিউজের এ প্রতিনিধি যান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে। কথা হয় প্রকল্প পরিচালক ড. এম মিজানুর রহমানে সঙ্গে। তিনি প্রকল্পের সহকারী পরিচালক নুরুজ্জামান মল্লিককে হাতিয়া উপজেলার দায়িত্বে থাকা প্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী মো. নাজিম উদ্দিনকে ফোন করে এ প্রতিবেদককে বিস্তারিত তথ্য দিতে নির্দেশ দেন। কিন্তু তাতেও তিনি সায় দিচ্ছিলেন না। তাদের (নুরুজ্জামান মল্লিক ও নাজিম উদ্দিন) দীর্ঘ আলাপের পর নুরুজ্জামান মল্লিক নাজিম উদ্দিনের কাছে তথ্য চেয়ে একটি লিখিত আবেদন করতে বলেন এ প্রতিবেদককে। এরপর বিস্তারিত তথ্য চেয়ে আবেদন করলে প্রথমে তিনি শুধু স্কুলের নাম ও স্কুল শিক্ষকের নাম পাঠান জাগো নিউজের কাছে। বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে স্কুলগুলো নিয়ে ইতিবাচক প্রতিবেদন করার অনুরোধ করেন জাগো নিউজকে। প্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী মো. নাজিম উদ্দিন এসব স্কুলের বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য না জানালেও প্রকল্পটির সহকারী পরিচালক নুরুজ্জামান মল্লিক জাগো নিউজকে জানান, হাতিয়ার এ স্কুলগুলোর জন্য প্রতি মাসে শিশু থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য ৮০ টাকা ও চতুর্থ থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ১০০ টাকা করে উপবৃত্তি দেয়া হয়। ভর্তির সময় উপকরণ, বিনামূল্যে বইও দেয়া হয়। এছাড়া প্রতি বছর প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য ৪০০ টাকা মূল্যের পোশাক দেয়া হয়। আনন্দ স্কুলের শিক্ষকদের বেতন চলতি বছর পর্যন্ত তিন হাজার টাকা নির্ধারিত রয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে তারা পাবেন চার হাজার টাকা। এছাড়া এককালীন স্থাপনা তৈরির সময় ৩ হাজার ৮০০ টাকা ও প্রতি মাসে ঘর ভাড়া বাবদ ৪০০ টাকা দেয়া হয়। জাগো নিউজের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০১২ সালের শুরুর দিকে হাতিয়া উপজেলায় মোট ১৩০টি আনন্দ স্কুল ছিল। এর মধ্যে ৫টি স্কুল বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। বতর্মানে ১২৫টি স্কুল রয়েছে। এসব স্কুলে কাগজে-কলমে তিন হাজার ৪৭০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। স্কুলগুলোর মধ্যে হাতিয়া পৌরসভায় ২টি, তমরুদ্দিন ইউনিয়নে ২টি, চরকিং ইউনিয়নে ৫টি, চানন্দী ইউনিয়নে ১০টি, বুড়িরচর ইউনিয়নে ১০টি, সোনাদিয়া ইউনিয়নে ১১টি, নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নে ১৮টি, হরনী ইউনিয়নে ২৬টি ও জাহাজমারা ইউনিয়নে ৪১টি স্কুলের নাম রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী আনন্দ স্কুলের (রস্ক) কোনো শিক্ষার্থী অন্য স্কুলে ভর্তি থাকতে পারবে না। অথচ হাতিয়া উপজেলার আনন্দ স্কুলগুলোর তিন হাজার ৪৭০ শিক্ষার্থীর মধ্যে দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে পাশের সরকারি স্কুলগুলোতে। এসব শিক্ষার্থীর নাম-ঠিকানাসহ বিস্তারিত জাগো নিউজের হাতে রয়েছে। শিশুদের বিষয়টি চিন্তা করে তাদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করা হলো না। উপজেলা শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, দ্বীপে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা নগণ্য। অথচ ঝরে পড়া শিক্ষার্থী হিসেবে এসব স্কুলে শিক্ষার্থী দেখানো হয়েছে তিন হাজার ৪৭০ জন। নিয়ম অনুযায়ী কোনো এলাকায় আনন্দ স্কুল স্থাপন করতে হলে নিরপেক্ষ ব্যক্তি বা এনজিও দ্বারা জরিপ করে ঝরে-পড়া শিক্ষার্থী ও স্কুলে যায়নি এমন শিশুদের সংখ্যা নির্ণয় করে সেখানে স্কুল স্থাপন করতে হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুপারিশ লাগবে। কিন্তু হাতিয়ার এসব আনন্দ স্কুলের ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এসব স্কুলের বেশিরভাগেই কোনো ক্লাস হয় না। নিজেদের ঘরবাড়ি, রান্নাঘর ও গোয়াল ঘরকে দেখিয়েই স্কুল করা হচ্ছে।উপজেলা শিক্ষা অফিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, এসব স্কুলের মধ্যে ৭০ শতাংশ স্কুল নামমাত্র রয়েছে। স্কুলগুলোর শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ নিয়ে কেউ কেউ চাকরি করে বিভিন্ন বেসরকারি এনজিওতে। আবার কেউ কেউ রয়েছেন জাতীয়করণের অপেক্ষায় থাকা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। শুধু শিক্ষকরা নয়, এসব স্কুলের শিক্ষার্থীদের অনেককে ভাড়া করে নেয়া হয় পার্শ্ববর্তী সরকারি স্কুলগুলো থেকে। অথচ এই স্কুলগুলো থেকে প্রতি মাসে লাখো টাকা ভুয়া বিল-ভাউচার করে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের একটি আনন্দ স্কুলের শিক্ষক চাকরি করেন বেসরকারি সংস্থা দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার একটি শাখায়। তিনি ওই শাখার পাশের একটি বাড়িতে বসবাস করেন, স্কুলেও তিনি অসেন না। অথচ ওই স্কুলটি দেখিয়ে নিয়মিত বেতন-ভাতা, স্কুলের ঘরভাড়া, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা, পোশাকের টাকা উত্তোলন করেন। হাতিয়া দ্বীপের অধিকাংশ আনন্দ স্কুল শিক্ষকদের ঘর-বাড়িতে। ফলে অনেক সময় শিক্ষার্থীদের দিয়ে নিজের ঘরবাড়ির কাজ-কর্ম করান শিক্ষকরা। এমন অভিযোগও রয়েছে স্থানীয়দের। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রধান শিক্ষক জাগো নিউজকে বলেন, ‘আনন্দ স্কুলে কোনো ক্লাস হয় না। আমাদের সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের ভর্তি দেখিয়ে রাখা হচ্ছে। স্কুলগুলোতে কোনো অডিট আসলে তখন আমাদের ছেলে-মেয়েদের নিয়েই স্কুল চালানো হচ্ছে। যেদিন আমাদের স্কুলে শিক্ষার্থী কম দেখি সেদিন আমরা বুঝে নিই আনন্দ স্কুলে কোনো অডিট বা অন্য কিছু হচ্ছে।’ আনন্দ স্কুল প্রসঙ্গে হাতিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আমি চেষ্টা করছি মনিটরিং করার জন্য। আমি দু’একটা মিটিংও করেছি। তবে শতভাগ না হলেও ৮০ ভাগ কাজ চলছে। আমি জানুয়ারিতে এটা আরো কঠিনভাবে দেখবো। এ সময় তিনি বিদ্যালয়ের দুর্বল দিকগুলো না লেখার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘দুর্বল দিকগুলো ওখানে (প্রতিবেদনে) দেবেন না। তাহলে এখানের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে।’ এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আনন্দ স্কুলের প্রকল্প পরিচালক ড. এম মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আসলে শতভাগ তো হয় না, ৫০ ভাগ হলেও হয়। কোনো স্কুল আছে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে যায়।’ খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, শুরুর পর থেকেই পার্শ্ববর্তী সরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের নাম দিয়েই বিদ্যালয় সাজানো হয়েছে। স্কুল শিক্ষকের নিজ ঘর কিংবা বাড়ির খোলা মাঠের কয়েকটি স্কুলে ক্লাস হলেও সেসবের জন্য ঘর ভাড়া দেখিয়ে বিল ভাউচার করে প্রতিটি স্কুল থেকে প্রতি মাসে ৪০০ টাকা করে আত্মসাৎ করা হচ্ছে। চলে গোঁজামিলের মহোৎসব। নামসর্বস্ব ও অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠান, সরকারি স্কুলে পড়া শিক্ষার্থীদের নাম আনন্দ স্কুলে ঢুকানো, ৮ বছরের নিচে বয়স, অর্থের বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগ, ওই স্কুলের শিক্ষার্থীকে দিয়ে পাঠদান, উপবৃত্তি লুটপাটসহ নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন এসব স্কুলের সংশ্লিষ্টরা। শুধু তাই নয়, অনেক স্কুলে সাইনবোর্ড আছে শিক্ষার্থী নেই, স্কুল বন্ধ কিন্তু শিক্ষকদের বেতন ও শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি-উপকরণ ওঠানো হচ্ছে নিয়মিত। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর সূত্র জানায়, শুরুতে ১৪৮টি উপজেলায় ‘আনন্দ স্কুলের’ কার্যক্রম থাকলেও এখন তা কমে ১২৫টিতে দাঁড়িয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় দেশের ৪৮ জেলার ১২৫টি উপজেলায় ১১ হাজার ১৬২টি স্কুল স্থাপন করা হয়। এসব স্কুলে মোট ৩ লাখ ১০ হাজার ৯৮৭ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করা হচ্ছে। রস্ক প্রকল্পের নীতিমালা অনুযায়ী, ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী প্রাথমিক থেকে ঝরে পড়া ও যারা একেবারেই স্কুলে যায়নি এমন শিশু-কিশোররা এ স্কুলে ভর্তি হতে পারবে। একটি স্কুলের জন্য ২৫ থেকে ৩৫ জন শিক্ষার্থী লাগবে। তবে কেউ সরকারি প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি থাকা অবস্থায় আনন্দ স্কুলে ভর্তি হতে পারবে না। তবে আনন্দ স্কুলের সহকারী পরিচালক নুরুজ্জামান মল্লিক জাগো নিউজকে বলেন, একটি আনন্দ স্কুলের জন্য পঞ্চম শ্রেণিতে ৫ জন শিক্ষার্থী হলেও চলবে। পুরো স্কুলে ১৫ হলে ওই শিক্ষক পুরো বেতন পাবেন। এর কম হলে পুরো বেতন পাবেন না। এক্ষেত্রে আনুপাতিক হারে তিনি বেতন পাবেন। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রকল্পের শুরুতেই শিক্ষার্থী ভর্তি ও শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। কোনো রকম স্কুল দাঁড় করিয়ে প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগও রয়েছে অনেকের বিরুদ্ধে। এ কারণে আনন্দ স্কুল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। ফলে এখন শিক্ষার্থী না থাকায় বেহাল দশা এসব স্কুলের।উল্লেখ্য, উপকূলের শিক্ষার হালচাল নিয়ে ২৪ ডিসেম্বর থেকে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ শুরু হয় জাগো নিউজে। তিনটি পর্ব প্রকাশিত হওয়ার পরই হাতিয়ায় শিক্ষাখাতের অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস এ অনিয়মের তদন্ত শুরু করে। দুই ধাপে শুরু হওয়া তদন্তে প্রথম ধাপে জেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত করেছেন। দ্বিতীয় ধাপে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারি তদন্ত করেছেন। এমএসএস/এনএফ/আরআইপি

Advertisement