লাইফস্টাইল

পিঠে ব্যথা হবে দূর

ব্যথা তো ব্যথাই। যেকোনো ব্যথা সহ্য করাই কষ্টকর। ব্যথা দেখা যায় না। কিন্তু যাকে অনুভব করতে হয়, সেই বোঝে! পিঠে ব্যথাও সেরকম একটি সমস্যা। একবার যদি পিঠে ব্যথা হয়, শুয়ে-বসে কোনোভাবেই আর শান্তি পাওয়া যাবে না। তাই দ্রুত পিঠে ব্যথা দূর করার জন্য মেনে চলতে পারেন কিছু নিয়ম। চলুন দেখে নিই সেগুলো কী- ১. দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা যাবে না। যদি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ানোর প্রয়োজন দেখা দেয়, তাহলে একটি পা প্ল্যাটফর্মের ওপরে কিংবা টুলের ওপরে রেখে দাঁড়াতে হবে। ২. চেয়ারে বসে কাজ করার সময় কিংবা চেয়ারে বসে থাকার সময় যদি চেয়ারটি আপনার পিঠকে ঠিকমতো সাপোর্ট দিতে না পারে তাহলে চেয়ার ও আপনার পিঠের মধ্যকার ফাঁকা জায়গাটা পূরণে কুশন ব্যবহার করুন।৩. ঘুমানোর সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করুন। যেমন-     ক. শক্ত তোশক বা জাজিমের ওপর ঘুমান।     খ. মুখ নিচের দিকে রেখে ঘুমাবেন না।     গ. চিৎ হয়ে ঘুমাবেন।     ঘ. যদি পাশ ফিরে ঘুমাতে চান, তাহলে সে পাশে একটা হাঁটু সামান্য বাঁকা করে ঘুমাবেন।৪. নিয়মিত কিছু ব্যায়াম করলে পেট ও পিঠের মাংসপেশি সবল হয়। এসব ব্যায়ামের প্রতিটি ১০ বার করতে হবে। মাংসপেশির সবলতা বাড়লে ব্যায়ামের পরিমাণ আরো বাড়ানো যাবে। যদি কোনো ব্যায়ামে ব্যথা হয় তাহলে ওই ব্যায়াম বন্ধ করে দিতে হবে।     ক. হাঁটু বাঁকা করে চিৎ হয়ে শুতে হবে। পেটের মাংসপেশিগুলো সঙ্কুচিত করে পিঠকে মেঝের বিপরীতে চাপ দিতে হবে। মনে মনে পাঁচ পর্যন্ত গুণে তারপর শিথিল করতে হবে।      খ. হাঁটু বাঁকা করে চিৎ হয়ে শুতে হবে। যত দূর পারা যায় মাথা ও কাঁধ ওপরের দিকে তুলতে হবে। মনে মনে পাঁচ পর্যন্ত গুণে তার পর শিথিল করতে হবে।       গ. উপুড় হয়ে শুতে হবে। ডান পা সোজা রেখে যত দূর সম্ভব ওপরে তুলতে হবে। মনে রাখতে হবে, এ সময় হাঁটু কিছুতেই ভাঁজ করা যাবে না। মনে মনে পাঁচ পর্যন্ত গুণে তার পর ধীরে ধীরে পা নামাতে হবে। এরপর বাঁ পা একই রকম করতে হবে। প্রতি পায়ের জন্য পাঁচবার এটি করতে হবে।এইচএন/এমএস

Advertisement