নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে নিজেদের খাপ খাওয়াতে এমনিতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের। ওয়াঙ্গারেইতে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত জয়ের দেখা মেলেনি। নেলসনে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েও পারেনি বাংলাদেশ। তার ওপর, ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে ইনজুরির কবলে পড়তে হয়েছে বাংলাদেশ দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীমকে।একটি রান নিতে গিয়ে কাঁধে চোট পান তিনি। সঙ্গে সঙ্গেই মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। এরপর আর মাঠেই নামতে পারেননি। দু’দিন পর (বৃহস্পতিবার) সিটি স্ক্যান করানো হয়েছে তার। জানা গেছে আঘাত খুব বেশি গুরুতর নয়। হালকা রিহ্যাব করলেই মাঠে ফিরতে পারবেন। তবুও, সময়টা কিন্তু নেহায়েত কম নয়। অর্থ্যাৎ সঠিকভাবে রিহ্যাব করে মাঠে ফিরতে ফিরতে ওয়ানডে সিরিজের বাকি ম্যাচ এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজেও মাঠে নামতে পারবেন না তিনি।তবুও সবার প্রত্যাশা টেস্ট অধিনায়ক যেন টেস্টের শুরু থেকেই থাকতে পারেন। মুশফিকুর রহীম নিজেও এ ব্যাপারে যথেষ্ট আশাবাদী। তিনি নিজেই জানালেন, যেভাবে রিকভারি হচ্ছে, এ হারে হলে প্রথম টেস্টে খেলতে পারবেন।আজ দুপুরে নেলসনে টিম হোটেলের পাশে স্থানীয় একটি মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে গিয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা হয় মুশফিকের। তখনই নিজের অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি এখন একদমই সুস্থ, কোন সমস্যা নেই। তিন চার দিনে যতটা রিকভার করা সম্ভব, আমি তার চেয়ে অনেক বেশি করেছি ইনশাআল্লাহ। আমার নিজের বিশ্বাস এবং ফিজিও বলেছেন, এভাবে অগ্রগতি থাকলে অবশ্যই, ইনশাআল্লাহ আমি প্রথম টেস্ট খেলতে পারবো।’নেলসনে দ্বিতীয় ম্যাচে মুশফিকের অনুপস্থিতি বেশ ভুগিয়েছে বাংলাদেশ দলকে। অনেকেই মনে করেন, হয়তো মুশফিক থাকলে ম্যাচের ফলটা হতে পারতো অন্যরকম। মাশরাফিও মনে করেন তেমনি। মুশফিক থাকলে হয়তো মিডল অর্ডার এভাবে ভেঙে পড়তো না। বাংলাদেশই হয়তো জিততে পারতো।মুশফিকের অনুপস্থিতি নিয়ে জাগো নিউজকে মাশরাফি বলেন, ‘কোনোভাবেই এখনও মুশফিকের কোনো বিকল্প নাই এই দলে। আমাদের পাইপলাইনে যতই ক্রিকেটার থাকুক, কেউ নেই তার পরিবর্তিত হিসেবে নেয়ার মত। মুশফিক একদিকে উইকেট আগলে রাখতে পারে এবং অন্যদিকে রানের চাকাও সচল রাখতে পারে। আমার বিশ্বাস, গতকাল (দ্বিতীয় ম্যাচে) যদি মুশফিক থাকতো, তাহলে ম্যাচের চালচিত্র ভিন্ন হতে পারতো। কারণ মুশফিক থাকলে, মাঝখানে যে মড়ক লাগলো, আমার বিশ্বাস তা ঠেকানো যেতো।’মুশফিকের স্থান যে কোনোভাবেই পূরণযোগ্য নয়, অন্তত এই মুহূর্তে তা স্বীকার করছেন কম-বেশি সবাই। এমনকি তার পরিবর্তে যাকে দলে নেয়া হয়েছে, সেই নুরুল হাসান সোহানও স্বীকার করছেন, মুশফিকের বিকল্প হওয়ার যোগ্য নন তিনি। জাগো নিউজকে নুরুল হাসান সোহান বলেন, ‘মুশফিক ভাইর বিকল্প হওয়ার মত যোগ্যতা আামার নেই। মেধা প্রজ্ঞা এবং অভিজ্ঞতায় তিনি আমার চেয় অনেক এগিয়ে এবং আমার চেয়ে অনেক বড়; কিন্তু কিছু করার নেই। ইনজুরির ওপর কারও তো হাতও নেই। এখন তার বিকল্প হিসেবে আমাকে মাঠে নামতে হচ্ছে। আমি আমার সামর্থ্যের শেষ বিন্দু দিয়ে চেষ্টা করবো। কিপিংয়ে এবং ব্যাটিংয়ে মুশফিক ভাইয়ের মত না হলেও, যতটা সম্ভব দলকে সাহায্য করতে। ব্যাটিং অর্ডারে আমার নিজস্ব কোনো পছন্দ নেই। দল যেখানে চাইবে আমি সেখানে নামবো।’এআরবি/আইএইচএস/পিআর
Advertisement