সরকার পতনে চুড়ান্ত ঘোষণার পর বিএনপির সিনিয়র নেতারা এখন অবলম্বন করছেন আত্মগোপন কৌশল। অনিদির্ষ্টকালের কর্মসূচি ঘোষণার পর গত ৫ জানুয়ারি থেকে প্রায় সব নেতাই রয়েছেন আত্মগোপনে। তবে তাদের এই আত্মগোপন কৌশলও কোন কাজে আসছে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।সর্বশেষ মঙ্গলবার রাত ১০ টার পর বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদের কোন খোঁজ পাচ্ছে না তার পরিবার। বিএনপির দাবি, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে সালাহ উদ্দিন আহমেদ অজ্ঞাত স্থান থেকে বিবৃতির মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করে আসছিলেন। এর আগে দলটির আরেক যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় আটক করা হয়। তখন তিনি অজ্ঞাতস্থান থেকে দলটির পক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন।এদিকে রুহুল কবির রিজভীকে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় আটক করার আগে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে আটক করা হয়। এর আগে মির্জা ফখরুলও আত্মগোপনে ছিলেন।এছাড়া ঢাকা মহানগর বিএনপির আহবায়ক মির্জা আব্বাস গত ৫ জানুয়ারি অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণার পর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছে। পাশাপাশি ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদলসহ সব ক`টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা আত্মগোপন কৌশল অবলম্বন করছেন।এদিকে শীর্ষ পর্যায়ের অন্য নেতাদের বেশিরভাগই রয়েছেন জেলে। এ অবস্থায় বিএনপির মুখপাত্রের দায়িত্ব পেয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। দলীয় সূত্রে এমনটিই জানা গেছে। তাছাড়া বুধবার সালাহ উদ্দিন আটকের খবর জানিয়ে তিনিই গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয় থেকে বিবৃতি দিয়েছেন।এ ব্যাপারে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এ ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমি দলের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছি মাত্র।’তবে বিএনপি আত্মগোপন কৌশলের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন বেপারী জাগো নিউজকে বলেন, বর্তমান সরকার তো অগণতান্ত্রিক সরকার। এই সরকার বিনা ভোটে ক্ষমতায় এসেছে। সুতরাং তাদের কাছে গণতান্ত্রিক আচরণ আশা করা যায় না।তিনি বলেন, বিএনপিতে তো নেতার অভাব নেই। একজনকে আটক করলে আরেকজনকে দায়িত্ব নিতে হবে। একজনকে খোঁজতে খোঁজতে যে সময় পাওয়া যায় বর্তমান পরিস্থিতিতে সেটা অনেক কিছু।তিনি আরো বলেন, আত্মগোপন কৌশল অবলম্বন করা ছাড়া বিএনপির অন্য কোন উপায় নেই। বর্তমান সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। তাই তারা জুলুম, খুন, গুম করে যতদিন ক্ষমতায় থাকা যায় ততদিন থাকবে। অন্যদিকে বিএনপিও হয়তো তাদের এই চলমান প্রক্রিয়া অব্যহত রাখবে।এমএম/এসএইচএ/পিআর
Advertisement