খেলাধুলা

আবারও বেঁচে গেলেন ইমরুল

দারুণ ভাগ্য নিয়ে আজ নেলসনে মাঠে নেমেছেন যেন ইমরুল কায়েস। একবার, দু’বার নয়- কয়েকবার জীবন পেয়েছেন। একবার আউট ঘোষিত হয়ে মাঠ থেকে উঠে যাওয়ার পরও ফিরে এসেছেন। দু’বার মিস হলো তার ক্যাচ। তার বল যেন হাতের তালুতেই জমাতে পারছেন না কিউই ফিল্ডাররা।নিউজিল্যান্ডের ছুড়ে দেয়া ২৫২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তামিম আর ইমরুল ভালোই সূচনা এনে দেন। দু’জনের ৩০ রানের জুটি স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছিল। এরই মধ্যে ফিরে গেলেন তামিম ইকবাল। ১১তম ওভারের খেলা চলছিল তখন। দলীয়  রান ৩২। তামিম ফিরে যাওয়ার পর বাংলাদেশকে বিপর্যয়ে ফেলে দিতে পারতো ইমরুলের আউট। কারণ, ওই সময় তিনি ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। কলিন মুনরোর বলে ক্যাচ দেন ইমরুল। কিন্তু ফিল্ডার সেই বলটি তালু্বন্দী করতে ব্যর্থ হলেন। যদিও সেটি ছিল একটু কঠিন ক্যাচই।১৪তম ওভারের দ্বিতীয় বলে স্লিপে ঠেলে দিয়ে বিপজ্জনক এক রান নেন ইমরুল। টম ল্যাথাম এবং লুক রনকি মিলে চেষ্টা করেছিলেন রানআউটের। বলটা ঠিকভাবে স্ট্যাম্পে লাগলে হয়তো ওই সময় রানআউট হয়ে যেতেন সাব্বির রহমান।২৩তম ওভারের শেষ বলে শর্ট কভারে বল ঠেলে দিয়েই দৌড় দেন ইমরুল কায়েস। সাব্বিরও দৌড় দিয়ে বিপদ বুঝতে পেরে ফেরত আসেন। কিন্তু ইমরুল ততক্ষণে নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে। উইকেটরক্ষকের হাতে বল যেতেই স্ট্যাম্প ভেঙে দিলেন।রানআউট হয়ে গেলেন ইমরুল। ধীরে ধীরে মাঠ ছেড়ে তিনি ড্রেসিংরুমে ফিরে গেলেন। পরবর্তী ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও মাঠে নেমে গেছেন। তখনই আম্পায়ার সাব্বিরকে জানালেন যে তিনি আউট, ইমরুল নন। কারণ, টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে, নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে সাব্বিরের আগেই ক্রিজ স্পর্শ করেছেন ইমরুল। সুতরাং, সাব্বিরই আউট।এক ওভার পরেই আবার জীবন পেলেন ইমরুল। এবারও ওভারের শেষ বলে। মিচেল সান্তনারের বলে স্লগ সুইপ করতে যান তিনি। ব্যাটের কানায় লেগে বল উঠে যায়। এবার ফিল্ডার লকি ফার্গুসন। তার হাতের তালুতে বলটা পড়ার পরও কেন যেন ফসকে গেলো। বল পড়ে গেলো মাটিতে। আবারও বেঁচে গেলেন ইমরুল। আইএইচএস/এমআর/আরআইপি

Advertisement