প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে আগামী জানুয়ারিতে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল বুধবার সাধারণ বীমা করপোরেশনের এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আমাদের দেশে একবার কোনো জিনিসের দাম বাড়লে তা আর কমে না। এ প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ভোক্তাস্বার্থকে দিতে হবে অগ্রাধিকার। জনকল্যাণমুখি সরকারের এটাই দায়িত্ব। মানুষের প্রত্যাশাও তাই। বিশ্ববাজারে বর্তমানে তেলের দাম ওঠানামা করছে। তাই দেশে তেলের দাম খুব বেশি কমবে না। তবে কিছু কমানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে- অনুষ্ঠানে এমন কথাও বলেছেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে গত ২৪ অক্টোবর অকটেন ও পেট্রল লিটারে ১০ টাকা এবং কেরোসিন ও ডিজেল লিটারে তিন টাকা কমায় সরকার। দাম কমানোর ফলে অকটেন ৮৯ টাকা, পেট্রল ৮৬ এবং ডিজেল ও কেরোসিন ৬৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে অন্য অনেক বিষয় জড়িত। পরিবহন সেক্টর থেকে শুরু করে পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়ার বিষয়টিও জ্বালানি তেলের সঙ্গে জড়িত। জ্বালানি তেলের দাম কমলে পণ্য পরিবহন ও উৎপাদনের খরচ কমবে। এতে দ্রব্যমূল্যও কমে আসবে। এ কারণে জ্বালানি তেলের দাম কমানো অত্যন্ত জরুরি। ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম কমানো হলে কমে আসবে মূল্যস্ফীতি, বাড়বে বিনিয়োগ এবং উৎপাদন বাড়ার কারণে অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি হবে। অথচ জ্বালানি তেলের দাম না কমানোর ব্যাপারে এর আগে অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, জ্বালানি তেলের দাম না কমিয়ে সরকার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের লোকসান সমন্বয় করতে চেয়েছে। অদ্ভুত যুক্তি বটে। সরকারি একটি প্রতিষ্ঠান দুর্নীতি, অনিয়ম, সিস্টেমলসসহ নানাবিধ কারণে লোকসানি হবে আর তার মাশুল গুণবে সাধারণ মানুষ? এটা হতে পারে না। লোকসানি প্রতিষ্ঠানকে লাভজনক করার নানাবিধ উপায় আছে। মানুষের পকেট থেকে টাকা নেয়ার শর্টকাট রাস্তায় না গিয়ে সেই পথে হাঁটতে হবে। আমরা চাই, জনস্বার্থে অবিলম্বে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমানো হোক।এইচআর/আরআইপি
Advertisement