আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তির দোসর ও মানুষ হত্যাকারি হায়নাদের সাথে কোন সংলাপ হতে পারেনা। যারা হায়েনার সঙ্গে সংলাপের কথা বলে, তারা পাগলের প্রলাপ বকে। আমরা পাগলের প্রলাপ নিয়ে রাজনীতি করি না। হায়েনার সঙ্গে কথা বলি না, বলবোও না।বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা এবং ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের চেষ্টার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।বেগম খালেদা জিয়া মৃত্যু নিয়ে, লাশ নিয়ে ব্যবসা করেন দাবি করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, এরা লাশ বেচা লোক। সে কারনেই জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর বাড়ির ও টাকার বিনিময়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সেদিন জিয়ার লাশ দেখতে যাননি। আজরাঈলের যেমন লাশ দেখে প্রতিক্রিয়া হয় না, তাদের কোনো প্রতিক্রিয়া হয় না। এরা সফলকাম হবে না। আল্লাহর রহমত শেখ হাসিনা ও জয়ের উপর আছে। মানবের জয় হবে, দানবের পরাজয় অবশ্যই হবে।‘জয় অপহরণ সংবাদ বানোয়াট’ বিএনপির নেতাদের এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, এফবিআইয়ের তথ্য বানোয়াট। আমরা যা বলি বানোয়াট, সবকিছু বানোয়াট। একমাত্র সাচ্চা বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির চোর-ডাকাতরা। মিথ্যা কথা বলতে এদের চোখের পাতা নড়ে না। কোনো হায়া-লজ্জা হয় না। আর বিএনপি তো এমন কথা বলবেই, কারণ মিথ্যার উপর ভিত্তি করেই বিএনপির জন্ম।অনুষ্ঠানে মাহবুব উল আলম হানিফ বেগম জিয়ার উদ্দেশে বলেন, এখনও শোধরানোর সময় আছে। হত্যার দায় স্বীকার করে সুস্থ রাজনীতির ধারায় ফিরে আসুন। অন্যথায়, আপনাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণের মূল ষড়যন্ত্রে যারা জড়িত তাদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানাবো যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত এবং যারা জয়কে অপহরণের ইন্ধন যুগিয়েছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।বাংলাদেশ যাতে এগিয়ে যেতে না পারে সেজন্য পাকিস্তানের এজেন্ট খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। এরই অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নাতি সজীব ওয়াজেদ জয়কে বিএনপির কর্মীরা আমেরিকায় অবস্থানকালে অপহরণের ষড়যন্ত্র করে বলেও মন্তব্য করেন হানিফ।এছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা, নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।আরএস/আরআই
Advertisement