সারাবিশ্বের অর্থনৈতিক মুক্তি এসেছে নারীর হাত ধরে। অর্থনীতির বিপ্লবেে নারীর ভূমিকা রযেছে অগ্রগামী। বিশ্বের অন্যতম টার্কিশ ব্যাংকের নকশা ও সেবার মানোন্নয়ন হয়েছে নারী উদ্যোক্তাদের হাত ধরে।নারীরা আজ সব ক্ষেত্রেই অবদান রাখছে। কৃষিক্ষেত্রে নারীর অবদান থাকায় আজকে বিশ্ব ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত হচ্ছে। আমাদের দেশও কৃষি ক্ষেত্রের অনেক উন্নয়ন হয়েছে এর মূলে রয়েছে নারী। বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরস্থ পরিকল্পনা কমিশনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ইআরডির সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও এফএডাব্লিউ’র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক।আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপিকা ড. সাদেকা হালীম, অভিনেত্রী শমী কায়সার, ইআরডি অতিরিক্ত সচিব সফিকুল আজম, যুগ্ম-সচিব সুলতানা আফরোজ, এফডাব্লিউও প্রতিনিধি ডেভিড ডাব্লিউ দোলান, বিআইডিএস পরিচালক(রিসার্চ) ড. রুশদান ইসলাম রহমান, নুরুন্নাহার প্রমূখ। জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক বলেন, নারীরা আজ সবক্ষেত্রেই অবদান রাখছে। কৃষিক্ষেত্রে নারীর অবদান থাকায় আজকে বিশ্ব ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত হচ্ছে। আমাদের দেশও কৃষিক্ষেত্রে অনেক উন্নয়ন হয়েছে এর মূলে রয়েছে নারী। তৈরি পোশাক খাতের বেশির ভাগ শ্রমিকই নারী। তাদের শ্রমের ফলাফল আমরা রফতানি করছে।তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলেই নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি পায়। আজকে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেত্রী, স্পিকারসহ নানা মন্ত্রণালয়ের সচিবও নারী রয়েছেন। আমরা আগামীতে প্রতিটি ইউনিয়ন পর্যায়ে সার্ভিস সেক্টরে মেয়েদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবো। অধ্যাপিকা ড. সাদেকা হালীম বলেন, মেয়েরা আজকে ইনফরমাল সেক্টরে কাজ করছে। কিন্তু সেই পর্যায়ে ফরমাল সেক্টরে তাদের অংশ গ্রহণ নেই। শমী কায়সার বলেন, আজকে সবক্ষেত্রে মেয়েদের স্বাধীনতা নেই। যেমন গ্রামে মেয়েরা আয় করে কিন্তু ব্যয় করে অন্যরা। এখনো অনেক গর্ভবতী মা অপুষ্টিতে ভুগছে। এটা দূর করতে হবে। মায়েদের পুষ্টিহীনতা দূর করতে হবে। দেশেকে সামনে নিয়ে যেতে হলে নারী উন্নয়ন জরুরি। সেই ক্ষেত্রে তাদের স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্ঠির লক্ষ্যে সরকারকে আরও এগিয়ে আসতে হবে।বিএ/পিআর
Advertisement