ঝিনাইদহে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রবে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন শতাধিক মানুষ কুকুরে আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। এ জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে কুকুরে কামড়ানো রোগির ভিড় বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন ঝিনাইদহ জেলা ছাড়াও মাগুরা এবং চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে শতাধিক রোগি জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন নিতে আসছেন। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের ইপিআই বিভাগের স্টাফ নার্স মোছা. কার্মিলা জানান, ২০১৪ সালের নভেম্বর মাস থেকে কুকুরে কামড়ানো রোগির সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত সাড়ে চার মাসে প্রায় ২২ জনকে জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, নভেম্বর মাসে ৬১৯ জন, ডিসম্বের মাসে ৬৪৫ জন, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে ২৮৫ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ৪২৫ এবং মার্চ মাসের ১১ তারিখ পর্যন্ত ২০৩ জনকে জলাতঙ্ক রোগের টিকা দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার অপুর্ব কুমার সাহা জানান, কুকুরের পাশাপাশি বিড়াল, গরু, বাঁদর, ছাগল, খোরগোশ, ছুচো এবং ইদুরে কামড়ানো নারী পুরুষরাও ভ্যাকসিন নিতে আসছেন। তিনি আরো জানান, আশপাশের জেলায় রেবিস ভ্যাকসিন না থাকায় ওই সব জেলা থেকেও রোগিরা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ছুটে আসছেন। প্রতিদিন রোগির চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে স্টাফ নার্সরা। কালীগঞ্জ উপজেলার বিলাল হোসেন, কোটচাঁদপুরের ছোয়া খাতুন, সদর উপজেলার গোবিন্দপুরের প্রকাশ ও আরাপপুর এলাকার মহিম জানান, হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে রেবিস ভ্যাকসিন নিতে পেরে তারা খুশি। তাদের ভাষ্যমতে বাইরে রেবিস ভ্যাকসিন দেওয়া অনেক ব্যয়বহুল। এদিকে জেলায় কুকুরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেলেও পাগলা কুকুর নিধনে পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ কোন ভূমিকা নিচ্ছে না।এমএএস/পিআর
Advertisement