খেলাধুলা

তিন পেসারের সঙ্গে শুধুই সাকিব?

আচ্ছা, বাংলাদেশের টিম কম্বিনেশনটা কেমন হবে? কিউই বধে কেমন দল হতে পারে আদর্শ? মাশরাফির দল কেমন একাদশ সাজাবে? টিম কম্বিনেশনে ক’জন প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান রাখা হবে? পেসার থাকবেন ক’জন? ক’জন স্পিনার খেলানো হবে? নানা কৌতূহলি প্রশ্ন সবার মনে। সময় যত গড়াচ্ছে, ম্যাচ শুরুর সময় যতো কাছে আসছে জল্পনা-কল্পনার ফানুস ততই উড়ছে। দল নিয়ে কৌতূহলও তত বাড়ছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, দল সাজাতে কিউই লাইন-আপের কন্ডিশনের ওপরই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তবে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর সাথে কথা বলে মনে হচ্ছে বাড়তি বোলার নিয়ে নয়, একজন ব্যাটসম্যান বেশি নিয়ে খেলার কথাই বেশি ভাবছে বাংলাদেশ। ‘একাদশ কেমন হচ্ছে? ১১ জনের দল কি চূড়ান্ত?’ জাগো নিউজের পাঠকদের সে কৌতূহলী প্রশ্নের জবাব দিয়ে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক।আজ সন্ধ্যায় মিনহাজুল আবেদীন জাগো নিউজকে একাদশ সম্পর্কে একটা ধারণা দিয়েছেন। তার দেয়া তথ্যে বেরিয়ে এসেছে ১১ জনে সাত ব্যাটসম্যান থাকা নিশ্চিত। সে সংখ্যা বেড়ে আটেও দাঁড়াতে পারে। বাড়তি ব্যাটসম্যানের অন্তভুর্ক্তির অর্থ- একজন বোলার কমে যাওয়া। সেক্ষেত্রে প্রায় অপরিহার্য হয়ে ওঠা মেহেদী হাসান মিরাজের বাইরে থাকার সম্ভাবনা যথেষ্ঠ। প্রধান নির্বাচকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশের তিন পেসার নিয়ে মাঠে নামতে যাচ্ছে। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার সাথে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান ও স্পিড স্টার তাসকিন আহমেদকে দিয়েই সাজানো হবে পেস ডিপার্টমেন্ট। তার মানে, অন্য দুই পেসার রুবেল হোসেন- শুভাশিস একাদশের বাইরে।  কারো কারো ধারণা ছিল, শেষ মুহূর্তে দলে চার পেসারও দেখা যেতে পারে। কিন্তু প্রধান নির্বাচক সুষ্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন সোমবার ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালে বাংলাদেশ একাদশে নেই দুই পেসার রুবেল ও শুভাশিস। একজন বাড়তি পেসার খেলানো হচ্ছে না। এখন একাদশ সাজাতে হলে পথ দুুটি। হয়- একজন ব্যাটসম্যান বাড়াতে হবে, না হয়- সাকিব আল হাসানের সাথে আরও একজন স্পিনার খেলানো। তবে প্রধান নির্বাচকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী অফস্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের খেলার সম্ভাবনা শূন্যের কোঠায়। এখন প্রশ্ন হলো- মিরাজ যদি না খেলেন, তাহলে তিন পেসার + সাকিব আল হাসানের সঙ্গে একজন পঞ্চম বোলার লাগবে। তিনি কে ? তবে কি আজকাল বল হাতেও নিজেকে মেলে ধরা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ওপর বাড়তি আস্থা নির্বাচকদের? নাকি প্রস্তুতি ম্যাচে তিন উইকেট পাওয়া সৌম্য সরকারের জেন্টল মিডিয়াম পেস কাজে লাগানো যায় কিনা? এমন চিন্তাও ঘোরপাক খাচ্ছে। উইকেটে ঘাস থাকলে সৌম্য সঠিক জায়গায় বল ফেলতে পারলে সুইং পাবেন। তার ছোট্ট ছোট্ট সুইং কাজে লাগতেও পারে।তিন পেসার ও সাকিবের সাথে সৌম্য-মাহমুদউল্লাহ মিলে ১০ ওভার। আরও অপশন আছে। সাব্বির রহমান রুম্মন লেগ-অফ দুই স্পিনই করতে পারেন। তাকেও মাঝে মধ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া আরও দুজন আছেন, যারা বোলিংটাও পারেন। প্রথমজন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আর পরের জন এ সিরিজে অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবে দলে আসা তানভির হায়দার। মোসাদ্দেক মিডল-অর্ডারে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি অফ-স্পিন করেন। বিপিএলেও প্রায় নিয়মিত বল করেছেন। আর তানভির হায়দারের ব্যাটিংয়ের চেয়ে তার বোলিংটার দিকেই বেশি চোখ টিম ম্যানেজমেন্টের। কিউইরা লেগস্পিনে দুর্বল। এ চিন্তা মাথায় রেখেই আসলে তানভির হায়দারকে নেয়া। তানভিরের অন্তর্ভুক্তি ঘটলে  কিন পেসার, বাঁ-হাতি স্পিনার ও অফস্পিনারের সঙ্গে একজন লেগিও দলে থাকবেন। তাতে করে বোলিংয়ে বৈচিত্র্য বাড়বে। একটা বিকল্প হাতিয়ারও তৈরি হবে। এখন দেখার বিষয়, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও তানভির হায়দারের কাকে শেষ পর্যন্ত বেছে নেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা? প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু অবশ্য তানভীর হায়দারকে খেলানোর সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন। তার কথা, ‘দুই পেসার রুবেল-শুভাশিস ও অফস্পিনার মিরাজের পাশাপাশি একাদশের বাইরে তানভীর হায়দারও।’ যদি তা-ই হয়, তাহলে তামিম, ইমরুল, সৌম্য, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিক, সাকিব ও সাব্বিরের সাথে আট নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলবেন মোসাদ্দেক সৈকত। এনইউ/আরআইপি

Advertisement