ক্যাম্পাস

শেকৃবিতে পাঠ্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে জুনোটিক রোগ

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পাঠ্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে জুনোটিক রোগ। শেকৃবির মেডিসিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগ এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ) এর অঙ্গসংগঠন রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল-ইউকে, বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে দিনব্যাপী এ সেমিনার ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। রোববার দিনব্যাপী শেখ কামাল অনুষদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।সেমিনার শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের চেয়ারম্যান ও দেশের প্রথম জুনোটিক রোগ গবেষণা ও তথ্য কেন্দ্রের কেন্দ্র প্রধান ড. কে বি এম সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় এবং এনিম্যাল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. মোফাজ্জল হোসাইনের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে। রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল-ইউকে, বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার রাজু আহমেদ শুরুতেই রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল এর কার্যক্রম তুলে ধরেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো বক্তব্য রাখেন শেকৃবির উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. সেকেন্দার আলী ও কোষাধক্ষ্য প্রফেসর ড. মো. আনোয়ারুল হক বেগ। সেমিনারে বিভিন্ন শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের আরো ৮০ জন বিশেষজ্ঞও উপস্থিত ছিলেন।প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, জুনোটিক রোগ গবেষণা ও তথ্য কেন্দ্র এসব রোগের গবেষণার ক্ষেত্র উন্মোচন করেছে। বাংলাদেশে এ ধরনের গবেষণার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। তাই শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এইসব রোগবালাই এর উপর গবেষণা চলমান রাখতে আগ্রহী। তিনি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ (ইইউ) বিভিন্ন দাতা সংস্থাকে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশে এসব গবেষণায় এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান। রিলিফ ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর এম নজরুল ইসলাম জানান, তারা বাংলাদেশে জুনোটিক রোগ গবেষণায় আরো অর্থায়ন করতে আগ্রহী। তিনি এ সমস্ত গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়নে শেকৃবিসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েরও সহায়তা কামনা করেন।বাংলাদেশে ওয়ান হেলথের পথিকৃৎ ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গনাইজেশন (এফএও) এর ওয়ান হেলথ সমন্বয়কারী প্রফেসর নীতিশ দেবনাথ বলেন, সারা বিশ্বে ওয়ান হেলথ এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এই কর্মশালার মাধ্যমে যে পাঠ্যক্রম তৈরি করা হবে তা আমাদের শিক্ষার্থীদের আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষায় শিক্ষিত করবে আমাদের বিশ্বাস । মানুষ ও প্রাণীর চিকিৎসা শিক্ষা প্রদানকারী সব প্রতিষ্ঠানগুলো অদূর ভবিষ্যতে এ ধরনের পাঠ্যক্রম চালু করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।আয়োজক সূত্রে জানা যায়, এই কর্মশালার মাধ্যমে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী জুনোটিক রোগ সংক্রান্ত পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করা হবে এবং পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়ন করবে শেকৃবির মেডিসিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগ। এ প্রসঙ্গে উক্ত বিভাগের চেয়ারম্যান ও জুনোটিক রোগ গবেষণা ও তথ্য কেন্দ্রের কেন্দ্র প্রধান ড. সাইফুল ইসলাম জানান, ভেটেরিনারি শিক্ষা ও গবেষণায় জুনোটিক রোগের গুরুত্ব অনুধাবন করে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের আধুনিক ও যুগোপযোগী আন্তর্জাতিক মানের একটি পাঠ্যক্রম প্রণয়নই এই কর্মশালার মূল লক্ষ্য। তিনি আশা করেন, এই কর্মশালার মাধ্যমে বাংলাদেশে জুনোটিক রোগের শিক্ষা ও গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।জেএইচ/জেআইএম

Advertisement