২০১৬ সালে ঢাকার সিএমএম আদালত এলাকা থেকে দুই আসামি পালিয়ে যান। এ ঘটনায় আলোচনায় আসে আদালত এলাকার নিরাপত্তার বিষয়টি। পালিয়ে যাওয়া দুই আসামির মধ্যে একজন গারো তরুণী ধর্ষণ মামলার আলোচিত আসামি রুবেল। অপরজন হলো শিশু পরাগ অপহরণ মামলার মূল আসামি ল্যাংরা আমির। এদের মধ্যে রুবেল পরে গ্রেফতার হলেও এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে ল্যাংরা আমির। অপরদিকে আদালতে আসামির আত্মহত্যার চেষ্টাও ছিল আলোচনায়।ধর্ষক রুবেলের পলায়ন২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর রাজধানীর বাড্ডায় গারো তরুণী ধর্ষণের প্রধান আসামি রুবেল (২৬) নিম্ন আদালত থেকে পালিয়ে যান।এদিন তাকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে হাজির করেন বাড্ডা থানার পুলিশ। একপর্যায়ে সে আদালত থেকে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার দুদিন পর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উল্লেখ্য, ধর্ষণ, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও প্রতারণাসহ কমপক্ষে ২০টি অভিযোগ রয়েছে বাড্ডার ‘ত্রাস’ বলে পরিচিত রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে। ল্যাংরা আমিরের পলায়ন২০১৬ সালের ১১ আগস্ট ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজতখানা থেকে পালিয়ে যায় কেরানীগঞ্জের শিশু পরাগ অপহরণ মামলার মূল আসামি মোক্তার হোসেন ওরফে ল্যাংরা আমির । এর আগের দিন ১০ আগস্ট একটি হত্যা মামলায় তাকে আটক করে পুলিশ। এখন পর্যন্ত তাকে পুনরায় গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।আদালতে আত্মহত্যার চেষ্টা২০১৬ সালের ১৯ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ডাকাতির মামলার আসামি স্বপন আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুস্থ হওয়ার পর সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।রামপুরা থানা পুলিশ জানায়, স্বপন তার দুই হাতে থাকা হ্যান্ডকাপ দিয়ে নিজেই নিজের গলা কাটার চেষ্টা করেন।গত ১৪ নভেম্বর রামপুরা এলাকায় ডাকাতির অভিযোগে রামপুরা থানায় দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাকে। জেএ/এমএমজেড/এমএস
Advertisement