বিশ্বের সব হেলিকপ্টার আকাশ পথে চললেও সাতক্ষীরায় হেলিকপ্টার চলে সড়ক পথে। বেশি খরচের কারণে যারা এতদিন হেলিকপ্টার চড়তে পারেননি তারা সাতক্ষীরার এই হেলিকপ্টার চড়তে পারেন খুব অল্প খরচে। যারা সাতক্ষীরায় নতুন ভ্রমণ করেন তাদের কাছে এই হেলিকপ্টার এক বিস্ময়ের নাম। কেননা এখানে গন্তব্যে কিভাবে পৌঁছবেন তার বর্ণনা দেয়া হয় এভাবে- ‘বাস থেকে নেমে ‘হেলিকপ্টারে’ উঠে ঠিকানা বললেই পৌঁছে দেবে।’ এই কথা শুনে প্রায় সব নতুন ভ্রমণকারীরা চমকে ওঠে এই ভেবে- কী আজব এলাকারে বাবা, হেলিকপ্টারে পৌঁছতে হবে!সাতক্ষীরার ঐতিহ্যবাহী এই ‘হেলিকপ্টার’র বাস্তব হেলিকপ্টারের মত ডানা না থাকলেও আছে দুই চাকা। তবে আছেন একজন পাইটল। আর যাত্রী ধারণ ক্ষমতা মাত্র একজন। বাইসাইকেলের পিছনে নরম বসার স্থান তৈরি করে যাত্রী পরিবহন করা হয়। আর ভিন্ন রকম এই পরিবহন ব্যবস্থা সাতক্ষীরায় হেলিকপ্টার হিসেবে খ্যাত। সাইকেলের পিছনে বসার স্থান তৈরি করা যানকে হেলিকপ্টার বলার রহস্য জানালেন কালীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার হেলিকপ্টারের পাইটল আলিম আলী। তিনি বলেন, ‘আমি প্রায় ২২ বছর এই হেলিকপ্টার চালাই। তার বহু আগে থেকে এই যানকে হেলিকপ্টার বলে। তবে প্রচলিত আছে, প্রায় ৭০ থেকে ৮০ বছর আগে একজন সাইকেলের পিছনে বসার স্থান তৈরি করে মজার ছলে বলেছিলেন এটি হেলিকপ্টার। সেই থেকে এর নাম হেলিকপ্টার।’অন্য এক ইতিহাস বলে, একসময় সাতক্ষীরায় ভ্যানের সংখ্যাও কম ছিল। সাইকেলই ছিল এ এলাকার দ্রুততম যান। তাই যাত্রী পরিবহনকারী সাইকেলগুলোকে এ কারণে হেলিকপ্টার বলা হতো। তবে এখন সাতক্ষীরার কয়েকটি স্থানে এ ঐতিহ্যবাহী হেলিকপ্টারের দেখা মেলে। কারণ হিসেবে আবুজার মালিক নামের একজন যাত্রী জানান, এই দ্রুতগতির সময়ে এখন আর কেউ এই হেলিকপ্টার চড়তে চায় না। তবে কম দূরত্বের কিছু স্থানে এখনো ঐতিহ্যবাহী এই হেলিকপ্টার বেশ জনপ্রিয়।এসইউ/জেআইএম
Advertisement