ঘোষিত হয়েছে ২০১৩ সালের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে বিজয়ীদের নাম। সবাইকে চমকে দিয়ে ২৫টি শাখার মধ্যে একাই ১৭টি শাখায় পুরস্কার জিতে নিয়েছে ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ছবি ‘মৃত্তিকা মায়া’। ছবিটির পরিচালক হিসেবে সেরা পরিচালকের স্বীকৃতি পেয়েছেন গুণী অভিনেতা ও নাট্য ব্যক্তিত্ব গাজী রাকায়েত। বিরল এই সাফল্যের অনুভূতি জানাতে গিয়ে মুঠোফোনে তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন জাগোনিউজের সাথে.... জাগোনিউজ : প্রথম ছবিতেই বাজিমাত! জাগোনিউজের পক্ষ থেকে অভিনন্দন....গাজী রাকায়েত : (মিষ্টি হেসে) ধন্যবাদ। অনেক ধন্যবাদ অভিনন্দনের জন্য।জাগোনিউজ : দেশে এই প্রথমবারের মতো কোনো ছবি ১৭টি শাখায় জাতীয় পুরস্কার জিতে নিল। ছবিটির পরিচালক হিসেবে কেমন লাগছে?গাজী রাকায়েত : এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। এটা আমাদের ইন্ড্রাস্ট্রিতে ব্যতিক্রম একটি ঘটনা। পুরস্কার জিতে পুনর্জন্ম হয়েছে মৃত্তিকা মায়ার। আমি উচ্ছ্বসিত, অভিভূত। জুড়ি বোর্ডের কাছে চিরকৃতজ্ঞ আমাকে চলচ্চিত্র নির্মাণে এভাবে উৎসাহিত করার জন্য। জাগোনিউজ : এই সাফল্যের রহস্য কী?গাজী রাকায়েত : (হেসে) রহস্যের কিছুই নেই। পুরস্কারের আশায় কাজ করি না আমি। আমি ছবি বানাতে চেয়েছি নিজেকে সমাজ ও মানুষের কাছে নিয়ে যাবার জন্য। ভবিষ্যতেও একই লক্ষ্য থাকবে। তবে এই কাজটি করতে গিয়ে এই আত্মবিশ্বাস ছিলো চমৎকার একটি কাজ করছি আমরা। কিন্তু এতো বড় সাফল্য পাবো ভাবিনি। বর্তমানে অনেক তরুণ আর মেধাবী নির্মাতারা ছবি তৈরি করছেন। এই প্রতিযোগীতার বাজারে এমন একটি জায়গায় নিজেকে আবিষ্কার করা- সত্যি চমকে যাবার মতো। জাগোনিউজ : ছবিটির নির্মাণ প্রসঙ্গে বলুন....গাজী রাকায়েত : এটি আমার প্রথম ফিচার ফিল্ম। তাই ভালো কিছু নিয়ে আত্মপ্রকাশ করতে চেয়েছিলাম। সে লক্ষেই অনেক পরিকল্পনা আর সময় নিয়ে মৃত্তিকা মায়ার স্ক্রিপ্ট তৈরি করেছি। ৩৫ মিলিমিটারের ক্যামেরা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এর দৃশ্যধারণ হয়েছে। তবে এই সাফল্যের সবচাইতে বড় ভাগীদার ছবিটির পুরো টিম। সাধারণত দেখা যায়, একটি কাজ করার সময় একটি বিভাগ ভালো হলে অন্যটি একটু দুর্বল থেকে যায়। আমি কোনো দুর্বলতা চাইনি। প্রত্যেকটি বিভাগের কলাকূশলীরা আমাকে নিখুঁতভাবে সহযোগীতা করেছেন। সেজন্যই সবাই আজ স্বীকৃতি পেয়েছেন। আমি মৃত্তিকা মায়া টিমের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সেইসাথে তাদের অভিনন্দিত করছি। ধন্যবাদ জানাচ্ছি ইমপ্রেস টেলিফিল্মকে; আমার পাশে থাকার জন্য।জাগোনিউজ : আপনাকে ধন্যবাদগাজী রাকায়েত : আপনাকেও ধন্যবাদ। জাগোনিউজের জন্য শুভকামনা। যারা ছবিটি দেখেছেন তাদের ধন্যবাদ। যারা এখনো দেখেননি, আমি চাইব পরিবারের সবাইকে নিয়ে তারা মৃত্তিকা মায়া উপভোগ করবেন।এলএ
Advertisement