হজের সময় মিনায় অবস্থানের বিষয়ে আল্লাহ তাআলা দিনক্ষণ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এবং এ দিনসমূহে আল্লাহ তাআলাকে বার বার স্মরণ করার কথা নির্দেশ করা হয়েছে। আরো বলা হয়েছে যে, আইয়ামে তাশরিক মিনা থেকে বাইতুল্লার দিকে ১২ বা ১৩ জিলহজ যেদিনেই ফিরে আসা হোক না কেন; তাতে কোনো ক্ষতি নেই।আবার কতদিন মিনায় অবস্থান করা হয়েছিল তা কোনো মৌলিক গুরুত্বের বিষয় নয়। বরং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- যতদিন সেখানে অবস্থান করা হয়েছিল; সে দিনগুলোয় আল্লাহর সঙ্গে তোমাদের সম্পর্ক কেমন ছিলো।হজের সময় মিনায় অবস্থানের নির্ধারিত দিনগুলোতে পরহেজগার বান্দাদেরকে আল্লাহ তাআলার স্মরণ বেশি বেশি করার তাগিদ দিয়ে কুরআনে ইরশাদ করেন-আয়াতের অনুবাদআয়াত পরিচিতি ও নাজিলের কারণসুরা বাকারার ২০৩ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হজের সময় মিনায় অবস্থানকালীন দিনগুলোতে তাঁকে বেশি বেশি স্মরণ করার নির্দেশ প্রদান করেছেন।এ দিনগুলো সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আরাফার দিন; কুরবানির দিন এবং আইয়্যামে তাশরিক তথা আমাদের জন্য খুশির দিন। অন্য হাদিসে বিশ্বনবি বলেন, ‘আইয়্যামে তাশরিক (নির্ধারিত দিন) হচ্ছে খাওয়া, পান করা ও আল্লাহকে স্মরণ করা। (মুসনাদে আহমদ)আর অবস্থানের বিষয়ে কথা হলো- মিনার দিন হচ্ছে তিনটি। দু’দিনে তাড়াতাড়ি করা বা বিলম্বকারীদের জন্য কোনো পাপ নেই বলেও কুরআনে আল্লাহ তাআলা উল্লেখ করেছেন।রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হজরত আবদুল্লাহ বিন হাযাফাকে মিনায় একটি ঘোষণা দিয়ে প্রেরণ করেন। আর তা হলো- হজের নির্ধারিত দিনগুলোতে (আইয়্যামে তাশরিকে) যেন কেউ রোজা না রাখে। এ দিনগুলো হচ্ছে খাওয়া, পান করা এবং আল্লাহকে স্মরণ করা দিন।অন্য হাদিসে বৃদ্ধি করা হয়েছে যে, কিন্তু যার ওপর কুরবানির পরিবর্তে রোজা রয়েছে (অর্থাৎ কুরবানি করতে অক্ষম ব্যক্তি ছাওয়াব লাভে রোজা রাখে) তার জন্য এটা অতিরিক্ত পুণ্য।পড়ুন- সুরা বাকারার ২০১ ও ২০২ নং আয়াতপরিষেশে...হজের সময় আল্লাহর ইবাদত বন্দেগির প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপের পাশাপাশি খাওয়া এবং পান করাও জরুরি। কারণ আল্লাহ তাআলার ইবাদত-বন্দেগি করতে শারীরিক শক্তি এবং প্রশান্তি অত্যাধিক প্রয়োজন। এ কারণেই হাদিসে হজের নির্ধারিত দিনগুলোতে হজের কার্যক্রম সুন্দরভাবে পালন করার জন্য খাওয়া ও পান করা এবং আল্লাহর জিকিরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ নির্ধারিত তিন দিনে বেশি বেশি আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করে দুনিয়া ও পরকালের সফলতা লাভ করার তাওফিক দান করুন। হজের শিক্ষা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।এমএমএস/এমএস
Advertisement