অবৈধ ইসরায়েলি বসতি স্থাপন বন্ধের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো প্রদানে অস্বীকৃতি জানানোর পর, এই বসতি স্থাপন বন্ধে একটি প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। মিশর প্রথম জাতিসংঘে প্রস্তাবটি তুলেছিল। কিন্তু এরপর ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে বলে। পরে প্রস্তাবটি আবার ফিরিয়ে নেয় মিশর। এরপর মালয়েশিয়া, নিউ জিল্যান্ড, সেনেগাল এবং ভেনেজুয়েলা ওই প্রস্তাব আবার তোলে। ইসরায়েলের নিন্দাসূচক প্রস্তাবে দেশটিকে বরাবরই সমর্থন দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। এ প্রস্তাব মেনে নেবে না বলে ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। শলা-পরামর্শ করতে নিউজিল্যান্ড ও সেনেগালে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতকে দেশে ডেকে পাঠিয়েছে ইসরায়েল। মালয়েশিয়া এবং ভেনেজুয়েলার সঙ্গে দেশটির কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে। প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট পড়েছে ১৪টি, বিপক্ষে একটি ভোটও পড়েনি। এ বিষয়ে এক টুইটে ডোনাল্ড ট্রাম্প লিখেছেন, ২০ জানুয়ারির পর থেকে ঘটনা অন্য রকম হবে। ইহুদিদের বসতি স্থাপনের এ বিষয়টি ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের মধ্যে সবচেয়ে উত্তেজনাকর বিষয়। আর ফিলিস্তিনিরা বিষয়টিকে শান্তির জন্য মূল প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখ। ১৯৬৭ সালে পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেম দখল করার পর এ পর্যন্ত ১৪০টি বসতি তৈরি করেছে ইসরায়েল। সেখানে প্রায় ৫ লাখ ইহুদির বাস। এনএফ/এমএস
Advertisement