রাজনীতি

জাতীয় নির্বাচনও হবে নাসিকের মতো সুষ্ঠু : কাদের

২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মতো অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে হবে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ-এর সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।কাদের বলেন, “আমি কথা দিচ্ছি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মতো ‘ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার’ করার ব্যবস্থা করবো।”এ সময় ওবায়দুল কাদের বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘কিন্তু আপনি (খালেদা) যদি নির্বাচনে না আসেন তাহলে কার জন্য ‘ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার’ নির্বাচন করবো? নাসিক নির্বাচনের মতো হবে আগামী জাতীয় নির্বাচন। এ জন্য আমরা সবার সহযোগিতা চাই।”ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজ শুধু নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মানুষের মধ্যে আলোচনা। এই নির্বাচন খুবই সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের এটা একটা রেকর্ড। এই নির্বাচনের কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি আমাদের বার বার বলেছিলেন, সবাইকে বলে দাও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। এই নির্বাচন সেভাবেই হয়েছে। এটা গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে।’ছাত্রলীগের মারামারিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হওয়ার ঘটনায় ‘বিস্ময়’ প্রকাশ করেন তিনি।কাদের বলেন, ‘গতকাল বুধবার হঠাৎ করে দেখলাম শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কারণ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ মারামারি করেছে। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিতে হয়েছে! এর জন্য কি আইন নেই? ছাত্রলীগ কী আইন-কানুনের ঊর্ধ্বে? যে ছাত্রলীগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট করে, সেই ছাত্রলীগের দরকার নাই।’তিনি আরো বলেন, ‘ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ মারামারি করেছে এর জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ অর্থাৎ মাথাব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলতে হবে। আমি এর বিপক্ষে। এ জন্য তো আইন আছে। আইন অনুযায়ী জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমি সঙ্গে সঙ্গে ওখানে কথা বলেছি, ছাত্রলীগকে বলেছি যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বহিষ্কার করতে। আর প্রশাসনকে বলেছি তাদের গ্রেফতার করতে।’এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘সে ক্যাম্পাসে পুলিশকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না বলে পুলিশ জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমি বলেছি। পুলিশ ঢুকতে দিলেন না, সতীত্ব ও সুচিতা নষ্ট হবে এ চিন্তায়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়ে কি সুচিতা থাকলো? আমি সেখানে ক্লাস খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করলাম। এটা একটা দৃষ্টান্ত করে দিলাম। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ও যেন এটা অনুসরণ করে।’শিক্ষকদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এতো বেশি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন, যেটা দরকার নেই। আর এটা তারা করেন পদোন্নতি ও নিজেদের বলয় তৈরির জন্য। আমি বলছি না, শিক্ষকদের রাজনীতি করা অভিপ্রেত নয়। রাজনীতির প্রতি তাদের সমর্থন অবশ্যই থাকবে।’ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য নাসরিন আহমেদ, আইবিএর পরিচালক অধ্যাপক এ কে এম সাইফুল মজিদ, আইবিএ’র অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল হাসান প্রমুখ। এইউএ/এসএইচএস/এমএস

Advertisement