লাইফস্টাইল

আদর্শ মা-বাবা হবেন যেভাবে

মা-বাবা হওয়া জীবনের একইসঙ্গে সবচেয়ে সহজ এবং কঠিন কাজ। আপনার মমতা, স্নেহ এবং ভালোবাসার ওপর নির্ভর করে আপনার সন্তানের বেড়ে ওঠা। আপনি কী ধরনের কাজ করছেন কিংবা আপনার আয় কেমন তা কখনই সম্পূর্ণভাবে আপনার সন্তানের বেড়ে ওঠার পেছনে মূল কারণ নয়। অনেকেই মনে করেন শাসন করলে বা কোনো কিছু করতে মানা করলে সন্তান বিগড়ে যাবে। তাই সে ভয়ে সন্তানকে তারা কিছুই বলে না। একটি সময় সন্তান মা-বাবার কাছ থেকে দূরে যেতে থাকে। আর অনেকসময় তাতে সন্তান কেবল বিপথেই যায় না  সেইসাথে তাদের মা-বাবা সমাজের কাছে নানাভাবে হন অপমানিত, লজ্জিত।সন্তানকে ভালোবাসা দিনসন্তানকে কতখানি ভালোবাসেন তা মুখে ফুটে না বলাই ভালো। তাকে আপনার কাজ দিয়ে বোঝান। কৈশোরে মা-বাবার কাছে বকা খেয়ে অনেক সন্তানই খারাপ পথে চলে যায়। তাই এসময় একমাত্র কাজ হচ্ছে ভালোবাসা। তাকে ভালোবেসে, বুঝিয়ে বলুন। তবে তাকে লোভ দেখিয়ে কোনো ধরনের কাজ করাবেন না। এতে তার মধ্যে কাজের বিনিময়ে বড় ধরনের কিছু পাবার প্রবণতা সৃষ্টি হতে পারে।পুরস্কৃত করুনসন্তানকে সব সময় সব কাজে অনুপ্রাণিত করুন। অনেক সময় শুধু মুখের কথায় আর ভালোবাসায় অনেক কিছু হয় না। তাকে ছোট ছোট কাজে পুরস্কৃত করুন। সে যদি গণিত করতে অমনোযোগী হয় আর আপনি যদি তাকে বুঝিয়ে বলে কিংবা ভালোবেসে বলে করাতে পারেন। তাকে ছোট ছোট উপহার যেমন কালার পেন্সিল, কলম কিংবা তার পছন্দের রঙের খাতা উপহার দিন।তুলনাঅনেক মা বাবাই আছেন যারা নিজের সন্তানের সাথে অন্যর সন্তানের তুলনা করেন। কোনো শিশু কোনো বিষয়ে সেরা হতে নাই পারে। এই বিষয়টি বেশি দেখা যায় পড়াশুনার ক্ষেত্রে। সর্বদা ওই না পারা শিশুটিকে নানাভাবে অবহেলা আর হেয় চোখে দেখা হয়। তার মনের মধ্যে এই ব্যাপারটি সৃষ্টি করে দেওয়া হয় যে সে কিছুই পারে না। আর তাকে দিয়ে কিছু সম্ভব না। এমনটি কখনোই করা উচিত নয়। এইচএন/জেআই

Advertisement