নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে সকাল থেকেই উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। নির্বাচনকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জে নেয়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন ভোটাররা। এদিকে সকালেই ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, খুব সুন্দর পরিবেশে নারায়ণগঞ্জে ভোটগ্রহণ চলছে। আজকের দিনটি নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য একটি বিরল দিন। এতো সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন নারায়ণগঞ্জবাসী এর আগে দেখেনি। অন্যদিকে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান। অবশ্য ভোটকেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তা আরো বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি।সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু থেকেই নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করছে জাগো নিউজ টিম। এ সময় সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, সকাল থেকেই সুন্দর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য উপস্থিতি আছে। সব মিলিয়ে নির্বাচনী পরিবেশে আমরা সন্তুষ্ট।নাসিকের ১৫নং ওয়ার্ড আওতাধীন অনবিদ্যা নিকেতন ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়েছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী আজগর আলী। তিনি বলেন, সকাল সকাল ভোট দিতে এসেছি মা এবং স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে। ভোট দিতে আসার আগে কেন্দ্র নিয়ে মনে মনে কিছুটা শঙ্কা থাকলেও এসে দেখছি সুন্দর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতিতে সবাই সুন্দর পরিবেশে ভোট দিচ্ছি। সব মিলিয়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট।অন্যদিকে ১৮ নং ওয়ার্ডের শীতলক্ষা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ শেষে শিল্পী রানী সাহা বলেন, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিলাম। ভোট কেন্দ্রের চারপাশে প্রচুর পরিমাণে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য উপস্থিতি আছেন। সবাই সুষ্ঠু সুন্দর পরিবেশ ভোট দিতে পারছেন। শিল্পী রানীর স্বামী উৎপল সরকারও একই অভিমত ব্যক্ত করেন।সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। দ্বিতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ১৭৪টি কেন্দ্রে ভোট দেবেন ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন ভোটার; যার মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৬২ জন এবং নারী ২ লাখ ৩৫ হাজার ২৬৯ জন। এখানে মেয়র পদে সাতজন, ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন এবং ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৫৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন, সুষ্ঠু ভোট আয়োজনে পুরো শহর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে।মঙ্গলবার থেকে র্যাবের ২৭টি মোবাইল টিম মাঠে আছে। এই প্রতিটি দলে থাকবেন ১২ জন করে সদস্য। প্রতিটি ওয়ার্ডে পুলিশের তিনটি করে মোট ৮১টি টিম টহলে রয়েছে। প্রতিটি টিমের সদস্য সংখ্যা হবে ১২ জন। ভোটের সময় শিল্প পুলিশের ২০০ জন সদস্য জেলা পুলিশের সঙ্গে থাকবে।এ নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলার বিষয়ে ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, কেউ যদি বিশৃঙ্খলা ঘটানোর চেষ্টা করলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।এএস/এনএফ/আরআইপি
Advertisement