মতামত

নাসিক নির্বাচন সুষ্ঠু হোক

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের আজ ভোট গ্রহণের দিন। প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে এ নির্বাচন নিয়ে নারায়ণগঞ্জবাসীর মতো দেশবাসীর মধ্যেও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে।  নারায়ণগঞ্জবাসী আজ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে নগরপিতাকে বেছে নেবেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।  এ নির্বাচনে মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসন মিলে মোট ২০১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের মধ্যে মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৫৬ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৮ জন রয়েছেন। ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন। যার মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৩৯ হাজার ৬৬২ এবং নারী ২ লাখ ৩৫ হাজার ২৬৯ জন।নির্বাচন কমিশন ভোটগ্রহণ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ রাখার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। র্যা ব-পুলিশ ছাড়াও নির্বাচনে ২২ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন থাকছে নারায়ণগঞ্জে। সবমিলিয়ে এবার নারায়ণগঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ৫ হাজার ৬০০ সদস্য মাঠে রয়েছেন। ১৩৭টি কেন্দ্রের তালিকা তৈরি করা হয়েছে, যেগুলো ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। এগুলোকে বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে।ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। অন্যদিকে সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপির মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। স্থানীয় নির্বাচন হলেও বড় দুই দলের মেয়র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নেয়ায় এটি জাতীয় নির্বাচনের চরিত্র পেয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের মানদণ্ড হিসেবে দেখছে এই নির্বাচনকে। এছাড়া বর্তমান নির্বাচন কমিশনের জন্যও এটি বড় চ্যালেঞ্জ। মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে এটিই তাদের জন্য সর্বশেষ নির্বাচন। তাই নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেজন্য সব ধরনের চেষ্টা চালাবে নির্বাচন কমিশন- এমনটিই আশা করছেন মানুষজন। গণতন্ত্রের অন্যতম শর্ত হচ্ছে সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। এজন্য প্রধান ভূমিকা নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকলেও প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, স্থানীয় প্রশাসন, ভোটার ও  সমর্থকদের আচরণের ওপরও তা অনেকাংশে নির্ভরশীল। এ জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। এছাড়া নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেয়ার মানসিকতাও থাকতে হবে। নারায়ণগঞ্জে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে সকল পক্ষই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিক- এটাই দেখতে চায় দেশের মানুষ। এইচআর/আরআইপি

Advertisement