রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টার ইনে কমনওয়েলথ ডে উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনার যখন শেষ হয় তখন খেলার বাকি মাত্র তিন ওভার, বাংলাদেশের দরকার দুই উইকেট। টানটান উত্তেজনার মধ্যে দ্রুত দুটি উইকেট পড়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের পাশাপাশি উচ্ছ্বাস থেকে বাদ যাননি বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও। সেখানে উপস্থিত ব্রিটিশ হাইকমিশনারের কাছে ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চান সাংবাদিকরা। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল, কোচ ও সমর্থকদের অভিনন্দন জানান।এর আগে সেমিনারের শুরুতেই তিনি জানান, `আমি ওয়েলসের, আমি ইংল্যান্ডের নই। তাই আজকের ম্যাচে আমি বাংলাদেশকে সমর্থন করছি।`সত্যিই বাংলাদেশের সমর্থক কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ব্রিটিশ হাইকমিশনার আবারও রসিকতা করে বলেন, `আমি গোপনে বাংলাদেশের সমর্থক। আপনারা এটা আবার টেলিভিশনে দেখাতে যাবেন না।`এদিকে ক্রিকেট ম্যাচ জয়ের পর বাংলাদেশকে ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনারও অভিনন্দন জানিয়েছেন। অস্ট্রেলীয় হাইকমিশন প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, `অ্যাডিলেডে আজ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয়ী হওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে আমি উষ্ণ অভিনন্দন জানাই।`বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে আলাদাভাবে অভিনন্দন জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, `বিশ্বকাপ ম্যাচে বাংলাদেশের জন্য প্রথম সেঞ্চুরি করা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকেও আমি অভিনন্দন জানাই।` অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার আগামী ১৩ মে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচেও বাংলাদেশ দলের সাফল্য কামনা করেন।ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসও নিজস্ব ফেসবুক পেজে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের লাল-সবুজ জার্সি পরা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট, মিশন উপপ্রধান ডেভিড মিলিসহ দূতাবাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে ক্রিকেট ব্যাট, বাঘের ছবিও স্থান পেয়েছে।ক্রিকেটকে ঘিরে সম্পর্ক, উচ্ছ্বাস এ অঞ্চলে নতুন নয়। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্বকাপ ক্রিকেট শুরুর আগের দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফোন করে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে শুভেচ্ছা জানান। সেদিন তিনি বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলুড়ে আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের সরকার প্রধানদের ফোন করেও ক্রিকেট দলগুলোকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন।আগামী ১৩ মার্চ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের নির্ধারিত ক্রিকেট ম্যাচটি গ্যালারিতে বসে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর একসঙ্গে দেখার কথা ছিল। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর নিউজিল্যান্ড সফর বাতিল করেন।এআরএস/আরআইপি
Advertisement